দশ বছরের যুদ্ধ। পুলিশের মার, এক আদালত থেকে অন্য আদালত। সিঙ্গুর থেকে কলকাতা। মিছিল থেকে ধর্ণামঞ্চ। মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তৃণমূল সুপ্রিমোকে ঘিরেই সিঙ্গুর আন্দোলনের জন্ম, পথচলা। হতাশা আর বঞ্চনার পথ পেরিয়ে আসা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা বদলেছে। বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুর নিয়ে তাঁর কমিটমন্টে চিড় ধরেনি কখনও।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার দিনেই বিধানসভায় জমি ফেরাতে আইন পাস করেছিলেন। আইনে জটে থমকে যায় সেই কাজ। তৃণমূল সুপ্রিমো কিন্তু বারবার আশ্বাস দিয়েছেন, সিঙ্গুর জমি ফেরৎ পাবেই। রাজ্যে ক্ষমতা বদলের পর জমি ফেরতকেই পাখির চোখ করে এগিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
advertisement
বুধবার সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণকে অবৈধ ঘোষণা করে চাষিদের জমি ফেরতের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷ অনিচ্ছুক কৃষকদের দাবিকে স্বীকৃতি দিয়ে বুধবার বাম আমলে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণকে অবৈধ বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র ও গোপাল গৌড়ার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ জনস্বার্থে হয়নি। তা কেবল বেসরকারি সংস্থার জন্যই হয়েছিল। রাজ্য সরকার এভাবে বেসরকারি সংস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে পারে না বলেও জানিয়েছেন বিচারপতিরা। সেকারণেই জমি অধিগ্রহণ অবৈধ বলেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যাদের জমি চাষের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে, তাদের পাশের মৌজা থেকে জমি দেওয়া কিনা তা দেখার জন্যও রাজ্যকে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যকে জমির দখল নিয়ে আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে জমি কৃষকদের ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্য সরকারকে ৷ আর তার পর থেকেই কীভাবে জমি ফেরত দেওয়া হবে সে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে পরিকল্পনা ৷
শুরু হয়ে গিয়েছে সিঙ্গুরে জমি ফেরৎ দেওয়ার প্রক্রিয়া ৷ এদিন বিকেলেই সিঙ্গুরে যাবেন ভূমি ও ভমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা ৷ প্রথম ধাপে দেখা হবে জমির মানচিত্র ৷ জমি চিহ্নিতকরণে সাহায্য নেওয়া হতে পারে গ্রামবাসীদের ৷