সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশের পরদিনই সিঙ্গুরের অধিগৃহীত জমি ফেরতের জন্য চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করে ফেলল রাজ্য সরকার। এদিন দুপুরে নবান্নে স্ট্র্যাটিজি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিব, স্বাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, হুগলির ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা। ছিলেন হুগলির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। সিঙ্গুর আন্দোলনের দুই নেতা ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং বেচারাম মান্নাকেও এদিনের বৈঠকে ডাকা হয়। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা শুক্রবার থেকেই শুরু হবে অধিগৃহীত জমি জরিপের কাজ। পুরনো রেকর্ড মিলিয়ে জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে জমি।
advertisement
জমি আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-এ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সিঙ্গুরের জমি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রথম তৃণমূল সরকার। কিন্তু আইনি জটে তা ১০ বছর থকমে ছিল। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আর কোনও বাধা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অধিগৃহীত জমি চাষযোগ্য করেই কৃষকদের হাতে তুলে দেবে তার সরকার। যাঁরা ক্ষতিপূরণের টাকা নেননি, আদালতের নির্দেশ মতো তাঁরা জমিও পাবেন, ক্ষতিপূরণও পাবেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর, সিঙ্গুরের জমি ফেরত নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা তুঙ্গে। এদিন সকালে নবান্নে এসে রায়ের কপি খুটিয়ে পড়েন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর অর্থ দফতর, ভূমি রাজস্ব দফতর সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সচিবদের সঙ্গে একদফা বৈঠক করেন। নবান্ন সুত্রে খবর, অধিগৃহীত জমির ওপর লোহা ও কংক্রিটের কাঠামো গুলি দ্রুত ভেঙে ফেলার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে সরকার।