এদিকে, আদালতে মদন মিত্রর পরবর্তী শুনানি ২২ মার্চ। ফলে ২২ মার্চ পর্যন্ত জেলেই থাকছেন মদন মিত্র। আইনজীবী মারফত কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন তিনি। তবে ভোট না মেটা পর্যন্ত আর জামিনের আবেদন করবেন না বলে বুধবার সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বলেন মদন মিত্র।
প্রশ্ন উঠছে জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় তিনি কীভাবে নিজের প্রচার বা স্বাভাবিক নিয়মে মনোনয়ন পেশ করবেন ? কমিশনের নিয়ম বলছে, জেল থেকে ভোটে লড়তে অসুবিধা নেই ৷ ভোটে দাঁড়াবার প্রস্তাব নিয়ে তাঁর হয়ে যে কেউ কমিশনে ভোটে লড়ার মনোনয়ন জমা দিতে পারে ৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর শপথ নিতে হয় প্রার্থীদের ৷ জেলবন্দি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জেল সুপার ও কমিশন নিযুক্ত রিটার্নিং অফিসারের সামনে এই শপথ নিতে হয় ৷
advertisement
ভোট শেষে প্রার্থী জিতে গেলে বিধায়ক হতে বা মন্ত্রী হতে সাংবিধানিক কোনও বাধা থাকছে না জেলবন্দি প্রার্থীর। ফলপ্রকাশের পর কাজ শেষ হয়ে যায় কমিশনের। তবে জেতার পরও বিধায়ক বা মন্ত্রী হওয়ার শপথ নেওয়া নির্ভর করছে আদালতের অনুমতির ওপর। অর্থাৎ জামিন না পেলে জেলের বাইরে বেরিয়ে ভোট সংক্রান্ত কোনও কোনও কাজই করতে পারবেন না মদন মিত্র। তবু নিজের জনপ্রিয়তা নিয়ে কনফিডেন্ট পরিবহণমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ভোট না মেটা পর্যন্ত জামিনের আবেদন আর করবেন না ।
পরিবারের তরফে জ্যোতিষীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনক্ষণ দেখা হচ্ছে ৷ জেল থেকেই নিজের কেন্দ্র কামারহাটিতে প্রচারের কাজ সারবেন মদন মিত্র। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন সব দলের প্রার্থীরা। জেলে থাকায় মদনের হয়ে প্রচার সামলাবেন ছেলেরা। জেল থেকেই তিনি তাঁর বিশ্বস্ত ছেলেদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন। ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন দলের কর্মীরা। বুধবার আলিপুর আদালতে মদন মিত্র জানালেন, তাঁর প্রচারের প্রয়োজন নেই। মানুষের মহাজোটের মুখে বিরোধীরা দাঁড়াতে পারবে না বলেই বিশ্বাস তাঁর। বুধবার বিকেলে কামারহাটি কেন্দ্রে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রথম নির্বাচনী মিছিল বের হয়। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষিত হওয়ার পর প্রথম পদযাত্রায় অংশ নেন তাঁর দুই ছেলে।