কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীকে খুন করে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ইটিভি নিউজ বাংলার হাতে। রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের পর দেহ লোপাটের ছক কষে দুষ্কৃতীরা। ভেড়ির পাকে দেহ পুঁতে ফেলার পরিকল্পনা হয়। কিন্তু গ্রাবাসীদের তৎপরতায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সিআইডি তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিআইডি সূত্রে খবর,
advertisement
৬ জুন ২০১৩
লাঙলপোতায় চপের দোকানে রাতভর চলছিল জুয়া খেলা ৷ জুয়ার আসরে ছিল অভিযুক্ত ইমামুল ইসলাম ও আমিনুর ইসলাম ওরফে ভুট্টো
৭ জুন
জুয়ার আসরে জেতার টাকায় মদ, মাংস এনে পিকনিক হয় আনসারির ঘরে
৭ জুন, দুপুর ২টো
আলাঘর থেকে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত গোপাল নস্কর ও ভোলা নস্কর ৷ ৫ মিনিট পর আনসারের মোটরবাইকে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত ইমামুল ইসলাম ও আমিনূর ইসলাম ওরফে ভুট্টো ৷ আনসারের আলাঘরেই থেকে যায় আর এক অভিযুক্ত সইফুল ৷ এরপর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উত্তর দিকে পাঁচিলের কাছে যায় সইফুল ৷
দুপুর ২.২৫ - ২.৩০
সেই সময় কামদুনি মোড় থেকে গ্রামে ফিরছিল রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ৷ দূর থেকে ওই তরুণীকে দেখতে পেয়ে আট বিঘার কাছে এগিয়ে যায় সইফুল ৷ কাছে আসতেই সইফুল তরুণীর হাত ধরে টানাটানি শুরু করে ৷ এরপর জোর করে ছাত্রীকে আট বিঘার ভিতরে টেনে নিয়ে যায় ৷ সইফুলের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারায় তরুণী ৷ কিন্তু তখনই কিছু না করে তরুণীর জ্ঞান ফেরার অপেক্ষা করে সইফুল ৷ জ্ঞান ফিরতেই তরুণীকে ধর্ষণ করে সইফুল ৷ সইফুলের সঙ্গে আরও কেউ ছিল বলেই সিআইডির অনুমান ৷ ধর্ষণের যন্ত্রণার ফলে ফের অজ্ঞান হয়ে যায় ছাত্রী ৷
জ্ঞান ফিরতেই চিৎকার শুরু করে নির্যাতিতা ৷ সইফুল নির্যাতিতার নাক ও মুখ চেপে ধরে ফের ধর্ষণ করে ৷ নিস্তেজ হয়ে পড়েন নির্যাতিতা ৷ বারবার ধর্ষণ এবং নাক-মুখ চেপে ধরার ফলে শ্বাসরোধ হয়ে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু ঘটে নির্যাতিতা ৷ এরপর আট বিঘার বাইরে ডাঙা জমিতে দেহ ফেলে আসে সইফুল৷
বিকেলে ৪.৩০
ঘরে ফেরে আনসার ৷ আলাঘরে বসেই অভিযুক্তরা ঠিক করে সন্ধে নামতেই ভেড়ির পাঁকে দেহ পুঁতে ফেলা হবে ৷
মেয়ে ঘরে না ফেরায় খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন কামদুনির মানুষ। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় দেহ পুঁতে ফেলার ছক ভেস্তে যায়। বৃহস্পতিবার ঘোষিত হতে চলেছে কামদুনি মামলার রায় ৷ রায় প্রকাশের ঠিক একদিন আগে সামনে এল গা শিউরে ওঠা এই তথ্য ৷ সবার নজর এখন কামদুনি রায়ের দিকে ৷