TRENDING:

PTTI নিয়ে হাইকোর্টের নয়া নির্দেশে চাকরি হারাতে পারেন বহু প্রাথমিক শিক্ষক

Last Updated:

মঙ্গলবার পিটিটিআই নিয়ে নতুন নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এদিন ২০০৪-০৫ বর্ষ পর্যন্ত পিটিটিআই শংসাপ্রাপ্তদের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের রায়ে মান্যতা পেল ট্রেনিং কোয়ালিফিকেশনের ‘২২ নম্বর’ ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: মঙ্গলবার পিটিটিআই নিয়ে নতুন নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এদিন ২০০৪-০৫ বর্ষ পর্যন্ত পিটিটিআই শংসাপ্রাপ্তদের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের রায়ে মান্যতা পেল ট্রেনিং কোয়ালিফিকেশনের ‘২২ নম্বর’ ।
advertisement

২০০৯-১০ সালে জেলাগুলিতে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের প্যানেল নতুন করে তৈরি করার নির্দেশ দিল আদালত। এর জন্য ছ’সপ্তাহ সময় দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ এর ফলে পিটিটিআই নিয়োগপত্রের ২২ নম্বরের মধ্যে কে কত নম্বর পেল সেই নম্বর যোগ করে নতুন করে প্রতিটি প্যানেল করতে হবে। এর ফলে নয়া প্যানেলে বাদ পড়তে পারেন বহু প্রাথমিক শিক্ষক ৷ তার জেরেই চরম বিপাকে পড়তে পারে রাজ্য ৷

advertisement

শিক্ষার অধিকার আইন চালু হওয়ার আগে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য মানা হত নিয়োগ আইন ২০০১। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের রিক্রুটমেন্ট রুল ২০০১ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদগুলি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করত। সেই আইন অনুযায়ী জেলায় জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০০৬ সালে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পিটিটিআই নিয়োগপ্রার্থীদের পাশপাশি প্রশিক্ষণহীনরাও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। প্রতি জেলায় হাজার হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসে। শেষমেষ ২০০৯-১০ সালে ২০০৬ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়।

advertisement

নিয়োগের ক্ষেত্রে পিটিটিআই দের জন্য আলাদা করে কোনও সুবিধা দেওয়া হয়নি। ২২ মার্কসকে বাদ রেখেই চূড়ান্ত প্যানেল করে তৎকালীন বাম সরকার। এরপর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, সুপ্রিম কোর্টে ২০০৬ সালের আগে পিটিটিআই শংসাপত্র প্রাপকদের ২২ নম্বর মার্কস নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ রাখা হয়নি। এরপর পিটিটিআই পরীক্ষার্থীরা মামলা করে হাইকোর্ট। সেই মামলায় মঙ্গলবার নির্দেশ দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ২০০৪-০৫ পর্যন্ত পিটিটিআই শংসাপ্রাপকদের ২২ নম্বরকে মান্যতা দিতে হবে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে বাইশ নম্বরকে হিসেবে ধরে জেলায় জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক প্যানেলগুলি পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২০০৬ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জেলাগুলিতে কোনও প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্যপদ নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পিটিটিআই-এর বাইশ নম্বরকে মান্যতা দিলে বাদ পড়তে পারেন রাজ্যের কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

পিটিটিআই বাইশ নম্বর অন্তর্ভূক্তির দাবিতে এক সময় রাজ্যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন পিটিটিআই পড়ুয়া ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। বর্তমানে শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯ মেনে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার কথা। এই নির্দেশের ফলে দুই থেকে আড়াই হাজার নিয়োগপ্রার্থী সুযোগ পেতে পারে ওই প্যানেলে। আবার পাঁচ বছর চাকরি করার পর চাকরি খোয়াতে পারেন সমসংখ্যক চাকরিজীবী। তাই আগামী দিনে পিটিটিআই নিয়ে ফের আইনি লড়াই অবশ্যম্ভাবী।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
PTTI নিয়ে হাইকোর্টের নয়া নির্দেশে চাকরি হারাতে পারেন বহু প্রাথমিক শিক্ষক