পিএসসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে জটিলতা ছিল প্রথম থেকেই ৷ জোট বাঁচাতে পিএসি চেয়ারম্যানের পদ সিপিএমকে ছেড়ে দেয় কংগ্রেস। হাইকম্যান্ডের অনুমোদন আদায়ে দিল্লিতে উড়ে যান আব্দুল মান্নান।
রাহুল গান্ধির সম্মতি আদায় করেই দিল্লি ছাড়েন মান্নান ৷ কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট মানস ভুঁইয়া এদিন সকালেই বিধানসভায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসেন । দলের বামঘেঁষা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক। কংগ্রেসের আটবারের বিধায়কের গলায় তখন ঝরে পড়ছে তীব্র ক্ষোভ ৷ বলেন, জোটের নামে এই ভাবে সিপিএমকে তোয়াজ করলে দলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
advertisement
৮ বারের বিধায়ক হয়েও পাননি বিরোধী দলনেতার পদ। তাই বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হতে ঝাঁপিয়েছিলেন। মন্ত্রীর সমান মর্যাদার এই পদ পেতে দলে তদ্বিরও কম করেননি । কিন্তু আশা পূরণ হয়নি। সিপিএমের অনুরোধে তাদেরই পিএসি-পদটি ছাড়তে উদ্যোগী হন পরিষদীয় দলনেতা আব্দুল মান্নান। এরপরই হঠাৎ বিদ্রোহ করেন সবংয়ের বিধায়ক।
বেলা গড়িয়ে বিকেল হতেই নাটকের পট পরিবর্তন ৷ সুজনের নাম খারিজ করে মানসকেই চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন স্পিকার ৷ এরপরেই এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বাম-কংগ্রেস ৷
সিদ্ধান্তের সাফাই হিসেবে অধ্যক্ষ বলেন, পিএসির সদস্য হিসেবে লিখিত আবেদনে এক নম্বরে মানস ভুঁইয়ার নাম ছিল। পিএসি চেয়ারম্যান পদ বিরোধী দলের প্রাপ্য। বিধানসভা পরিষদীয় আইনের ২৫৫ ধারা মেনেই এই ঘোষণা করা হয়েছে ৷ সুজন চক্রবর্তীর নাম মৌখিকভাবে প্রস্তাব করলেও লিখিত না থাকায় এই দাবি মানা সম্ভব নয় ৷ তাই সরকারিভাবে মানস ভুঁইয়াকেই চেয়ারম্যান করা হয়েছে ৷
অন্যদিকে, এই ঘটনাকে ‘ ষড়যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা মান্নান ৷ সাংবাদিকদের আব্দুল মান্নান বলেন, ‘খুব লজ্জাজনক ঘটনা৷ মানস ভুঁইয়াকে PAC চেয়ারম্যান করা হয়েছে ৷ আমরা সুজন চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছিলাম ৷ জঘন্যতম কাজ এরা করলেন ৷ এটা খুবই লজ্জাজনক ৷ আমি পার্টিকে একথা জানাব ৷ এই সিদ্ধান্ত আমরা মানছি না ৷’
অধ্যক্ষের এই ঘোষণায় বেড়েছে বিতর্ক ৷ এখন এটাই দেখার এই ঘোষণার পর কী প্রতিক্রিয়া এবং কী পদক্ষেপ নেয় বামফ্রন্ট ৷ প্রদেশ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে কি PAC - চেয়ারম্যানের পদ ছাড়বেন মানস? নাকি তৈরি হবে নতুন কোনও জটিলতা? সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।