নিজের অবস্থানে অনড় মানস আগেই বলেছেন, দশ জনপথ থেকে ডাক এলে তবেই তিনি যাবেন। অধীরের কটাক্ষ, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধি কাউকে ডাকেন না। মানস এটা ভালোই জানেন।
PAC ইস্যুতে মানস বলেন, ‘AICC ডেকে পাঠালে নিশ্চই যাব৷’ মানসের বক্তব্যের পাল্টা প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি বলেন, ‘সঙ্গত কারণ ছাড়া দিল্লি ডেকে পাঠায় না ৷ প্রয়োজনে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে দিল্লি যেতে হয়৷ রাহুল-সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে হয় ৷ এটা মানসের চেয়ে ভালো কেউ জানেন না ৷’
advertisement
১৮ জুলাই থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সাংসদ অধীরের সঙ্গে দিল্লিতে রোজই দেখা হবে সোনিয়া-রাহুলের। তাঁদের কাছ থেকে চূড়ান্ত সম্মতি নিয়ে মানসকে সাসপেন্ড করার পদক্ষেপ করা হতে পারে।
এদিন অধীর চৌধুরী আবারও বলেন, ‘সূর্যকান্তের দাবি মেনেই PAC -এর পদ প্রস্তাব করা হয় ৷ জোট স্বার্থেই পদ ছাড়তে প্রস্তুত ছিল কংগ্রেস ৷’ অন্যদিকে,
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সুজন চক্রবর্তী জানান, ‘বামেদের তরফে কোনও পদ দাবি নয় ৷ ’
কংগ্রেসের রাজ্য নেতাদের মতে, মানস ভুঁইঞাকে দল সাসপেন্ড করলে তিনি পিএসি-র চেয়ারম্যান থাকার নৈতিক অধিকার হারাবেন। তখন বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি লিখতে পারে প্রদেশ নেতৃত্ব। কংগ্রেসের অন্য বিধায়ককে পিএসি-র চেয়ারম্যান করার জন্য তাঁর উপর চাপ তৈরি করাই এর লক্ষ্য। আপাতত সে লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন অধীর-মান্নানরা।
