কলকাতা উত্তরে এখনও পর্যন্ত ৭-৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। সেনসিটিভ বুথ গুলোয় তারা ঘুরছেন। আগামী দিনে সংবেদনশীল বুথগুলো চিহ্নিত হলে, সেখানে আরও টহল বাড়ানো হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। আগামিকাল বেলা সাড়ে তিনটের সময় সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন ডিইও।
আরও পড়ুন: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেওয়া হবে! সতর্ক করলেন কুণাল! কার দিকে আঙুল তুললেন তৃণমূল নেতা?
advertisement
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সমস্ত রাজনৈতিক দলকে কঠোরভাবে আদর্শ আচরণবিধি (এমসিসি) মেনে চলতে বলেছেন। এই আদর্শ আচরণবিধি, নির্বাচনের আগে নেতা এবং দলগুলোর কী করণীয়, তার তালিকা। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই আদর্শ আচরণবিধি শুরু হয়ে গিয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ায় সরকারও কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারবে না। ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে বন্ধ হয়ে যায় প্রচার, যাকে ‘নির্বাচনী নীরবতা’ বলে।
আরও পড়ুন: ভারতে চালু হবে উড়ন্ত ট্যাক্সি! বাঙালি বিজ্ঞানীর হাত ধরে! কবে চালু, কত ভাড়া জানেন?
নির্বাচন কমিশনের মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট হল, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জারি নির্দেশিকাগুলোর একটি গুচ্ছ। এই বিধিগুলো বক্তৃতা, ভোটের দিন, ভোটকেন্দ্র, পোর্টফোলিও, নির্বাচনী ইস্তেহারের বিষয়বস্তু, মিছিল এবং সাধারণ আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। যার মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হয়।
আদর্শ আচরণবিধিতে আরও বলা হয়েছে, মন্ত্রীরা নির্বাচনী কাজ আর সরকারি সফর একসঙ্গে করতে পারবেন না। নির্বাচনের জন্য সরকারি সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনী প্রচারে সরকারি পরিবহণ ব্যবহার করতে পারবে না। এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে মাঠের মত খোলা জায়গায় নির্বাচনী সভা করা, হেলিপ্যাড ব্যবহার করার মতো সুবিধা শাসক দলের মতই, বিরোধী দলগুলোকেও একই শর্তে দেওয়া হবে।
— মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য