ব্রিজের কাজ সম্পর্কে এবং আনুষঙ্গিক কাজ নিয়ে কলকাতা পৌরসভায় নিকাশি বিভাগ ও পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলেও জানান অতীন ঘোষ। বৃষ্টিতে কাজ বন্ধ না হলে পুজোর আগেই ব্রিজে যান চলাচল শুরু হবে বলে জানান অতীন ঘোষ।
আরও পড়ুন- আচমকা ঘটনার পরিবর্তন! অনুব্রতর মেয়ের হাজিরার প্রয়োজন নেই, জানাল আদালত
advertisement
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করার কাজে হাত দেয় রাজ্য সরকার। সেই সময় টালা সেতুরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা পূর্ত দফতরকে জানায়, সেতুটি অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। সেতুর গায়ে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই ভেঙে নতুন সেতু তৈরি করার প্রস্তাব দেন তাঁরা।
মুম্বাইয়ের সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না পুরনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণে জোর দেন। এরপরই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার টার্গেট থাকলেও করোনার জন্য অনেক কাজ পিছিয়ে যায়।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই উদ্বোধন হতে চলেছে এই সেতু! এলাকার প্রশাসনিক কর্তারাও এই সেতুর কাজ দ্রুত শেষ হয় খুশি। প্রায় ৮০০ মিটার লম্বা নতুন টালা রেলওভার ব্রিজের ২৪০ মিটার পুরোপুরি রেলপথের উপরে রয়েছে।
আরও পড়ুন- Abhishek Banerjee: টার্গেট পঞ্চায়েত ভোট? চা বাগানের সমাবেশে আবার অভিষেক! প্রস্তুতি শুরু জেলা তৃণমূলে
এই অংশে কোনও স্তম্ভ বা পিলার নেই। টোটালটাই কেবল স্টেড। অ্যাপ্রোচ রোডে মোট বারোটি স্তম্ভ বা পিলার রয়েছে। সিথি, বরানগর ডানলপ সহ কলকাতার শহরতলী এলাকা থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে ঢোকার পথ প্রশস্থ হবে।
১৯৬২ সালে উত্তর কলকাতা ও শহরতলীর মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী টালা ব্রিজের উদ্বোধন হয়। ৫০ বছরে ব্রিজের হাল বেহাল। রিপোর্ট জমা দেন মুম্বই সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না।
২০১৯ সালের পুজোর আগে পুরনো টালা ব্রিজের যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। ২০২০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে টালা ব্রিজে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভাঙার কাজও শুরু হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। লকডাউন পর্বেও টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ চলতে থাকে।
২০২২- এর সেপ্টেম্বর মাসে শেষ সপ্তাহে নতুন ভাবে তৈরি টালা ব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। এখন আবহাওয়া অনুকূল থাকলে পুজোর আগেই ব্রিজ খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা।
চলতি সপ্তাহেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহতে ই বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে টালা ব্রিজের। এই বৃষ্টি এখন ভিলেন হতে চলেছে টালা ব্রিজের চূড়ান্ত পর্বের কাজে।