কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) দাবি করেন, কেন্দ্রের অসহযোগিতার পরেও দেশের ছটি বড় শহরের মধ্যে টিকাদানে কলকাতা (Kolkata) শীর্ষে। একটি সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে এনে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ হোক কিংবা দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই, মুম্বই এবং দিল্লির থেকে আমাদের কলকাতা অনেক এগিয়ে। রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন জানান, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ শহরের জনসংখ্যার ৬১.৪% এবং দ্বিতীয় ডোজ কলকাতার জনসংখ্যার ২১% মানুষকে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বেঙ্গালুরুতে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ৫৭.8৮% ও ১৪% মানুষকে, হায়দরাবাদে ৫৩.৭% ও ১৩.৪%, চেন্নাইয়ে ৫১.৬% ও ১৭.৯%, মুম্বইয়ে ৫১.১% ও ১৫.৭% এবং জনসংখ্যার নিরিখে দিল্লিতে ৩৫.১% ও ১১.১% মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
advertisement
স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য সামনে আসায় উচ্ছ্বসিত কলকাতা পুরসভা তথা রাজ্য সরকার। যেখানে ভ্যাকসিন নিয়ে বিরোধীরা রাজ্য সরকারকে প্রায় প্রতিদিনই নিশানা করছে। সেখানে এই তথ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে এনে ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট করলেন যে, সাধারণ মানুষকে করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই। প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও ভ্যাকসিন প্রদানে কলকাতা তথা রাজ্যের মানুষকে সুরক্ষিত রাখার প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সে কথাও এ দিন বুঝিয়ে দেন ফিরহাদ।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র থেকে এখনও আসেনি ভ্যাকসিন। কো-ভ্যাকসিনের ভাঁড়ার শূণ্য। আজও কলকাতা পুরসভার কোনও স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পুরসভার প্রধান কার্যালয় লাগোয়া রক্সি সিনেমা হলের মেগা সেন্টারেও দেওয়া হয়নি কো-ভ্যাকসিন টিকা।
VENKATESWAR LAHIRI
