ঘটনার পর তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত, রাজ্যে গা ঢাকা দিতে ও অস্ত্রব্যবসা চালাতে রীতিমতো ছক কষেই নেমেছিল ভুল্লার। সেই সূত্রেই গত ২৩ মে নিউটাউনের এই আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল জয়পাল। দেখা যাচ্ছে ভুল্লারদের ওই ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছিলেন সিআইটি রোডের এক ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার। কলকাতায় ফ্ল্যাট খুঁজতে একটি ওয়েবসাইটের সাহায্য নেয় জয়পাল। সেই সূত্রেই আলাপ হয় এক ব্রোকারের সঙ্গে। ওই ব্রোকারকে জয়পালরা জানিয়ে দেন, সাপুরজি আবাসনেই একটি টু বিএইচকে ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে চায় তাঁরা।
advertisement
অর্থাৎ, এটা স্পষ্ট যে, এত বিপুল সংখ্যক আবাসন, আর তাতে এত বেশি সংখ্যক মানুষ বাস করার জন্য ভিড়ে মিশে থাকার সুযোগ বেশি। আর সেই কারণেই সাপুরজিকেই বেছে নেয় ভুল্লাররা। সেখানে ফ্ল্যাট পেয়েও যায় তারা। এর জন্য কমিশনও পেয়েছিল সেই ব্রোকার। তাছাড়া এত লোকের মধ্যে হঠাৎ পুলিশি অভিযান করাও কঠিন জেনেই ওই আবাসনকেই বেছে নিয়েছিল তারা।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে নিউটাউনের এই আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া মাসে ১০ হাজার টাকা। অগ্রিম ২০ হাজার টাকা দিয়ে তবে ভাড়া এসেছিল জয়পাল। ফ্ল্য়াট মালিকের সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছিল ১১ মাসের। ফ্ল্যাট মালিককে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। পুলিশ আরও জেনেছে, নিরাপত্তা সুনিশ্চিন্ত রাখতেই ওই ফ্ল্যাটে কাউকে ঢুকতে দিত না ভুল্লার। নিজে নীচে যেত অনলাইনে খাবার ডেলিভারি নিতে। কিন্তু শেষমেশ সেই নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র রাখতে পারল না ভুল্লার।
যদিও বুধবারের ঘটনার পর গোটা আবাসনের নিরাপত্তাই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। এমনকী কলকাতা ও নিউ টাউনের বাকি আবাসনগুলির নিরাপত্তাও এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে।
