৫৬ বছরের পুরনো এই দোকানের মালিক অজিত দত্ত। নিজে ফুটবল দেখতে এবং খেলতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। এই ধরনের ভাবনা কেন জিজ্ঞেস করায় জানালেন, '' বলতে পারেন খানিকটা ভালোবাসা থেকেই এই ভাবনা এসেছে। চেষ্টা করি নিজের ভালবাসাটাকে ব্যবসার মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে। ছোটবেলায় প্রচুর ফুটবল খেলেছি। চার বছর অন্তর যখন বিশ্বকাপ আসে, চেষ্টা করি আয়োজক দেশ, অংশগ্রহণকারী দেশ, ম্যাসকট ঘুড়ির মধ্য দিয়ে তুলে ধরতে।''
advertisement
বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই প্রচুর লোক আসছেন। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২টা দেশের পতাকা দিয়ে বানানো হয়েছে ঘুড়ি। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স কী নেই দোকানে। তবে যে ধরনের-ই ঘুড়ি নিন না কেন, বলে রাখতে হবে আগে থেকে। দোকানে যে-সমস্ত ঘুড়ি রয়েছে, সমস্তটাই অজিতবাবুর নিজের ভালবাসার জন্য। যাতে সাধারণ মানুষ এসে দেখে ফুটবলকে ভালোবাসতে পারেন, রাত জেগে খেলা দেখেন। টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকে ক্রেতাদের ভিড়ও বেড়েছে। ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকার মধ্যে বাধা রয়েছে ঘুড়ির দাম।
কোন-কোন দেশের ঘুড়ির চাহিদা বেশি? জানা গেল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স আর ইংল্যান্ডের পতাকার ঘুড়ি কিনতেই বেশি আসছেন সমর্থকরা। দেশের পতাকা ছাড়াও ঘুড়িতে আঁকা রয়েছে কাতার বিশ্বকাপের ম্যাসকট লা ইব। বর্তমানে অনেকটাই বয়স হয়েছে অজিতবাবুর। তাই তাঁর সঙ্গে এখন দোকান সামলান তাঁর ছেলেও। তবে বয়স বাড়লেও ফুটবলের প্রতি ভালবাসা একটুও কমেনি । এখনও নিয়মিত রাত জেগে ফুটবল দেখেন। বিশ্বকাপ, ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ থেকে শুরু করে সব ধরনের উৎসবকেই ঘুড়ির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেন তিনি।