পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন, যার মধ্যে ৪ জন কলকাতার বাসিন্দা। যদিও আগের মতো সংক্রমণের তীব্রতা নেই, তবে কো-মর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়ে গিয়েছে। সংক্রমণ ক্ষমতা থাকলেও মৃত্যুর সম্ভাবনা আগের তুলনায় অনেক কম বলে জানান অতীন ঘোষ। কলকাতা পুরসভার তরফে ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের চিহ্নিত করে আইসোলেট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরবর্তী বৈঠকের এডভাইসারির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে ।
advertisement
পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে আগত রোগীদের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন অতীন ঘোষ। নতুন অনারারি হেলথ ওয়ার্কারদের সচেতন করতে বোরো ভিত্তিক ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতি হঠাৎ করে খারাপ হলেও পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায় সেই রকম ভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এই স্বাস্থ্য কর্মীদের।
এছাড়া, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতেও কোভিড টেস্টের সুব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। যাতে উদ্বেগ জনক পরিস্থিতি না হলেও দ্রুত চিহ্নিতকরণ এবং আক্রান্তদের আইসোলেট করতে সুবিধা হয়। ডেঙ্গি পরিস্থিতি প্রসঙ্গেও তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। গত বছরের মতোই সংক্রমণ সীমিত, ঊর্ধ্বগামী নয়। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে এবং যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য পুরপ্রশাসন প্রস্তুত।