প্রসঙ্গত, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চিনা বা সিন্থেটিক মাঞ্জা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। যদিও ঘুড়ি ওড়ানোর উপর সার্বিক ভাবে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই এখনও। তবে গত কয়েক বছর ধরে মা উড়ালপুলে একের পর দুর্ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। প্রায় দুশো মানুষ আহত হয়েছেন বিপজ্জনক মাঞ্জায়। এমনকী এক জনের মৃত্যুও হয়েছে এইভাবে। এই অবস্থায় বিগত বছরগুলির মতো এ বছরও ওই এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোয় রাশ টেনে দুর্ঘটনা রুখতে চাইছে পুলিশ।
advertisement
তবে পুলিশের বক্তব্য হল, চিনা মাঞ্জার থেকে কোনও অংশে কম বিপজ্জনক নয় দেশি মাঞ্জা। মা উড়ালপুল সংলগ্ন অঞ্চলে যে ধরনের মাঞ্জা সুতো ব্যবহার করে ওই অঞ্চলে ঘুড়ি ওড়ানো হয়, অনেক সময় তা চিনা মাঞ্জা না-হলেও তাতে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে। দেশি মাঞ্জা সুতোও যথেষ্টও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে সময়-সময়।
আরও পড়ুন: চলতি মাসের শেষেই প্রাথমিক টেটের ফল? ‘প্রশ্ন ভুল’ এড়াতে উত্তরপত্র আপলোড পর্ষদের
তবে মা উড়ালপুল সংলগ্ন তপসিয়া,বেনিয়াপুকুরের মতো কয়েকটি থানা ঘুড়ি ওড়ানো এবং বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও এতে শেষমেশ কতটা ফল মিলবে, তা নিয়ে পুলিশের একাংশই যথেষ্ট সন্দিহান। পুলিশের একাংশের ব্যাখ্যা, দূরে কোনও এলাকা থেকে যে সমস্ত ঘুড়ি ওড়ানো হয়, তার সুতো কেটে উড়ালপুলে পড়লেও দুর্ঘটনা ঘটার যথেষ্টই আশঙ্কা থাকে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
