প্রথমে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বেঠক করেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। আর এবার সরসারি কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি গুগল ফর্মের প্রদান করা হল সমাজ মাধ্যমে। কলকাতা পুলিশের সামাজিক মাধ্যমে ২৪.০৭.২০২৫ তারিখে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বিজ্ঞপ্তি নং ৩০২/আরপিটি এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS), ২০২৩-এর ধারা ১৬৩ অনুযায়ী এই তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক। একথা জানানো হল কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন- মেট্রোয় জুড়ল শহর, আজ থেকে নতুন ২ রুট চালু মেট্রোয়
এই তথ্য কলকাতা পুলিশ বন্ধু অ্যাপ–এর মাধ্যমেও জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। কলকাতার সকল নাগরিকদের কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত এই যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এলাকা আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত করতে কলকাতা পুলিশের এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে পাটনা থেকে গুলি চালিয়ে বাংলায় এসে ঘাঁটি। পরে তাদের পাকরাও করে বিহার ও কলকাতার এসটিএফ। এই ঘটনার পর এয়ারপোর্ট থানা বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছিল ওই এলাকার হোটেল, গেস্ট হাউস ও লজের জন্য। তখন পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, এবার থেকে গেস্ট হাউস , হোটেল , লজের জন্য কিছু নিয়ম বাধ্যতামূলক।
সেগুলি ছিল- ১.) SARAI লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। ২.) অতিথিদের আই ডি চেক করতেই হবে। তাদের কাছে ভোটার কার্ড , আধার কার্ড নিতে হবে। নির্দিষ্ট একটি ফর্ম ফিলাপ করে তবেই রুম দিতে হবে অতিথিদের। ৩.) ভিন রাজ্য থেকে কেউ এলে তার বিষয়ে আগে থেকেই পুলিশকে জানিয়ে রাখতে হবে, নতুন তৈরি করা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে। ৪.) ভিন রাজ্য থেকে আসা বা কোনও অতিথি কার্যকলাপ স্বাভাবিক না লাগলে আগে থেকেই নতুন তৈরি করে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানাতে হবে কর্তৃপক্ষদের। ৫.) অভিভাবক ছাড়া কোনও নাবালক যদি হোটেল ভাড়া নেয় তা হলে ভাড়া দেওয়া যাবে না। ৬.) গেস্ট হাউস , হোটেল , লজে সি সি টিভি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সিসিটিভিতে দু মাসের ফুটেজ স্টোর রাখার ক্ষমতা যেন থাকে সে বিষয়ে কড়া জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, প্যানিক বোতাম ও প্রাথমিক চিকিৎসার মতো নানা প্রোটোকল রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।নিউটাউনে পাটনার খুনিদের আস্তানা ও খোঁজ মেলার পর হোটেল, লজ ও গেস্ট হাউজের নিয়মে কড়া হল প্রসাশন।