এ দিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ লকেট চক্রবর্তী ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা৷ পুলিশি বাধা পেয়েই গাড়ি থেকে নেমে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ তাঁর পাশেই ছিলেন লকেট ও রাহুল৷ পুলিশ শুভেন্দুকে জানিয়ে দেয়, আর এগনো যাবে না৷ খানিক্ষণ তর্কাতর্কির পর শুভেন্দু পুলিশকে বলেন, তাহলে আমাকে গ্রেফতার করুন৷
আরও পড়ুন: মারের চোটে প্রায় বিবস্ত্র, তৃণমূলের প্রধানকে রাস্তায় ফেলে বেদম পেটালো বিজেপি কর্মীরা
advertisement
প্রথমে রাহুল সিনহাকে ধরে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ৷ তার পর মহিলা পুলিশকর্মীরা লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে অন্য একটি প্রিজন ভ্যানে তোলেন৷ এর পরেই দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত ঘিরে ফেলেছেন কয়েকজন মহিলা পুলিশকর্মী৷ শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগী হন তাঁরা৷ যা দেখেই কার্যত সতর্ক হয়ে যান বিরোধী দলনেতা৷
শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, 'ডোন্ট টাচ মাই বডি৷ আই আ্যাম মেল, ইউ আর লেডি৷ আপনাদের পুরুষ অফিসারকে ডাকুন৷' এর পরে অবশ্য আর খুব বেশি জেদাজেদি করেননি শুভেন্দু অধিকারী৷ নিজে থেকে গিয়েই প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়েন তিনি৷ তুলনামূলক ভাবে রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রিজন ভ্যানে তুলতে বেশি বেগ পেতে হয় পুলিশকর্মীদের৷
পুলিশকর্তারা বলছেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় পুরুষের মতো মহিলা পুলিশ কর্মীদেরও কাজে লাগানো হয়৷ কোনও মহিলাকে আটক বা গ্রেফতারের ক্ষেত্রে মহিলা পুলিশকর্মীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হলেও কোনও পুরুষকে আটকের ক্ষেত্রে চাইলে মহিলা পুলিশ কর্মীদের ব্যবহার করা যেতেই পারে৷ এ বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই৷ তাই শুভেন্দুকে আটক করতে মহিলা পুলিশকর্মীদের কাজে লাগানোর মধ্যে আপত্তির কিছু দেখছেন না প্রাক্তন ও বর্তমান পুলিশ কর্তারা৷
যদিও শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করার ক্ষেত্রে মহিলা পুলিশকর্মীদের এগিয়ে দেওয়ার মধ্যে অবশ্য অন্য কৌশল দেখছেন অভিজ্ঞ পুলিশকর্তারা৷ প্রথমত, পুরুষ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে শুভেন্দুর সংঘাতে জড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও মহিলা পুলিশকর্মীরা থাকলে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কমে৷ চারপাশে মহিলা পুলিশকর্মীরা থাকায় শুভেন্দুও এ দিন বাধ্য হয়েই অনেকটা সতর্ক হয়ে যান৷ খুব বেশি জেদাজেদি করাও সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে৷ ফলে রণকৌশলের দিক থেকে এ দিন পুলিশ ফুল মার্কস পেয়েছে, সেকথা বলাই যায়৷ শুভেন্দু অবশ্য তাঁকে বাধা দেওয়া নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন৷