প্রতিবেশীদের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বাড়ির বাইরে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় শঙ্করবাবুকে। সেদিনের পর থেকেই আর তাঁকে কেউ দেখতে পাননি এলাকায়। এমনকি গতকাল যখন দেহ উদ্ধার হয়, তখন দেহে পচন ধরে গিয়েছিল বলে দাবি তাঁদের। আরও অভিযোগ উঠেছে, অমানবিক অত্যাচার করা হত অসুস্থ এই পুলিশকর্মীর ওপর। বাড়ির প্রমোটিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাড়ির মধ্যে মতানৈক্য থাকায় তাকে মারধর করা হত বলে অনুমান প্রতিবেশীদের।
advertisement
প্রতিবেশীদের দাবি, বৃহস্পতিবার দিনভর পরিবারের তরফে চেষ্টা করা হয়েছে যেভাবে হোক একটা ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করার। প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশীরা রুখে দাঁড়ালে পুলিশও তাদের সহায়তা করেনি বলে দাবি। তারপর বিষয় জানাজানি হতেই পিছু হটে তারা। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
পরিবারের তরফে স্ত্রী এবং ছেলে সামনে না এলেও, মৃত পুলিশকর্মীর এক ভাই মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন। তিনি বাড়ির বারান্দায় বসে কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। দরজার তালা তিনি খুলতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেন। তবে তার দাদাকে মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে এই বিষয়টা তিনি মানতে চাননি না। “সব পরিবারেই অশান্তি হয়” জানালেন তিনি। এমনকি মঙ্গলবারের মারধরের কথাও তিনি মানতে চাইলেন না। প্রতিবেশীরা বাড়ির সামনে এসে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন।