২০১৪ সালে খবর পান বেঙ্গল সাইক্লিং চ্যাম্পিয়নশিপের। সাধারণ সাইকেল ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন এবং জেতেন স্বর্ণপদক। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জেতেন পুরস্কার। ইতিমধ্যে ডিউটি, অনুশীলনের ফাঁকেই প্রস্তুতি নিয়ে ২০১৫ সালে কলকাতা পুলিশে যোগ দেন কনস্টেবল হিসেবে। রাজ্য স্তরে সাফল্যের দৌলতে ২০১৮ সালে হরিয়ানায় অনুষ্ঠিত জাতীয় স্তরের সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তিনি, তবে একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হয়। বুঝতে পারেন, উন্নত মানের রেসিং সাইকেল থাকলে এমনটা হত না। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, বিদেশি সাইকেলই কিনবেন। তবে শুধু সিদ্ধান্ত নিলেই তো হল না, অর্থবল চাই, অর্থ জোগাড় করার পর্যাপ্ত সময় চাই।
advertisement
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখিয়ে আর ফিরল না ওরা, বীভৎস অবস্থা বর্ধমানে! থামল গোঙানি, পথে শুধুই রক্ত
অবশেষে দুটি ব্যাঙ্ক থেকে মোট আট লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে আমেরিকার এক নামী রেসিং সাইকেল প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে অর্ডার দিয়েই দেন বসন্ত। কিন্তু ততদিনে আবির্ভাব ঘটেছে করোনাভাইরাসের, এবং ২০২০ সালের লকডাউন আসন্ন। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে শেষমেশ হাতে পান সাধের রেসিং সাইকেল, তবে পাহাড়প্রমাণ ঋণের বোঝা ক্রমশ চেপে বসছিল বসন্তের ওপর, যদিও তাতে তাঁর মনোবল ও অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে চিড় ধরেনি।
ঘটনাচক্রে বসন্তের এই লড়াইয়ের কথা জানতে পারেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর নির্দেশে বসন্তের ঋণের বাকি অংশ পরিশোধ করে কলকাতা পুলিশ। শুধু তাই নয়, বসন্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে লড়াই চালিয়ে যেতে বলেন নগরপাল। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় পদক জেতার উদ্দেশ্যে এবার দ্বিগুণ আত্ববিশ্বাস নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন বসন্ত। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বসন্তের জীবনের এমন চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে একটি পোস্ট করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, 'আমাদের আশা, পদক জিতে তিনি গর্বিত করবেন আমাদের রাজ্য তথা কলকাতা পুলিশ পরিবারকে।'