বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বিষয়টির উপর লক্ষ্য রাখছিল। শনিবার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক, যুগলকিশোর দা দলবল নিয়ে ৪৫বি, কালিকৃষ্ণ টেগোর লেনে'মা কামাখ্যা এন্টারপ্রাইজ ' নামে একটি দোকানে হানা দেয়।সেখান থেকে দেড়শ কেজি সবুজ মৌরি উদ্ধার করে গোয়েন্দারা। এর আগে মৌরি সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
advertisement
আরও পড়ুন: জোড়া নিম্নচাপ! 'এই' জেলাগুলিতে আবহাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা, যে পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস...
যুগল বাবুর দাবি, 'পরীক্ষায় জানা গেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং দিয়ে সবুজ রং করা হয় মৌরি।যা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর।' তিনি খাদ্যে ভেজাল ও অপরাধ চক্র চালানোর জন্য দোকানের মালিক অরুন কুমার গুপ্তা এবং ওই দোকানের অন্যান্য মালিকদের গ্রেফতার করেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ''আমাদের রাজ্যে খাদ্যে ভেজাল প্রায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে, কলকাতার বড়বাজার এলাকা।এতটাই ঘিঞ্জি বাজার,যার ফলে পুলিশের খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।ইদানিং কালে কলকাতা পুলিশের এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সক্রিয় হওয়ার জন্য,একে একে ধরা পড়ছে এই অপরাধ চক্র। তবে খাদ্যে ভেজালের পদ্ধতি দিনের পর দিন বদলাচ্ছে।''
আরও পড়ুন: বাংলার সংগঠনে ফাঁকফোঁকর কোথায়, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ফোনে অমিত শাহ
সূত্রের খবর,কলকাতা ছেড়ে কলকাতার বাইরেও এই অপরাধ চক্র বেড়ে উঠছে।সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ অতটা সক্রিয় না। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালিয়ের গবেষক ডঃ প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন,'ইন্ডাস্ট্রিয়াল রঙে লেড থেকে আরম্ভ করে ভারী মেটাল রয়েছে।যা খেলে মানুষের দেহে ভয়ংকর ক্ষতি হতে পারে।ইন্ডাস্ট্রিয়াল রঙে টাইপ টু কারসিনোজেন রয়েছে।যা ক্যান্সারের ও কারণ।এটাতে মেলাটাইট গ্রিন থাকে,যার ফলে জেনেটিক পরিবর্তন হতে পারে মানুষের।''