শুধু কলকাতা নয়, কলকাতার বাইরের জেলাগুলোতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। শনিবার ভোরে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কলকাতা পুলিশের উৎপল নস্কর নামের এক এএসআই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন- ছট পুজোর জন্য শনিবার সন্ধ্যে থেকেই বন্ধ রবীন্দ্র সরোবর! ঝামেলা এড়াতে কড়া নিরাপত্তা
ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে পুলিশের সহকর্মীরা ওই হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমান। প্রত্যেকের মধ্যেই একটা শোকের ছায়া নেমে আসে।
advertisement
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার MT Pol বিভাগের ওয়েলফেয়ার বোর্ডের কর্মী ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর,গত রবিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে জ্বর আসে উৎপল বাবুর। সেদিনই বাঁশদ্রোনিতে নিজের এলাকায় এক ডাক্তার বাবুকে দেখান তিনি।
ওই ডাক্তার বাবুর পরামর্শে সোমবার রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। সেই সময় তাঁর রক্তে প্লেটলেট ৪.৫ লাখ ছিল।বৃহস্পতিবার শারীরিক দিক থেকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ওই দিনই আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল তাঁর রক্তে প্লেটলেট ১.৫ লাখের বেশি ছিল। উৎপল বাবুর রক্ত চাপ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা কমে গিয়েছিল। অন্যদিকে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ডাক্তাররা যাঁকে বলেন, 'ডেঙ্গি সক সিনড্রোম '। যার কারণেই আজ ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘এত চিঠি লিখি, এটাই সামনে এল কেন?’ চিঠি বিতর্ক নিয়ে হঠাৎ ফের বিস্ফোরক সায়ন্তন
এই ধরনের মৃত্যুর বিষয়ে ডাক্তাররা একটাই কথা বলছেন, জ্বর এলেই ডাক্তার দেখিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ খেতে। নইলে হাসপাতালে ভর্তি হতে। উৎপল বাবু কলকাতা পুলিশের ওয়েলফেয়ার কাজে থাকার সময় করোনা,ডেঙ্গি বা কোনো মানুষ অসুস্থ হলেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে আরম্ভ করে, শব দাহ সমস্ত কিছু করেছেন। আজ তিনি ডেঙ্গিতে মারা গেলেন। আফসোস করছেন সহকর্মীরা। উৎপল বাবুর দেহ হাসপাতাল থেকে পৈতৃক বাড়ি চম্পাহাটিতে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন।