TRENDING:

Bansdroni Case: দাদার মৃত্যুর পর খুনের নাটক ভাইয়ের, মনোবিদ দেখানোর পাশাপাশি ছোট ভাইয়ের জন্য চাকরি খুঁজছে পুলিশ

Last Updated:

শুভাশিস চক্রবর্তীর এখন ঠিকানা বাঁশদ্রোনি থানা হলেও তার যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের কথা ভাবছে থানা। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: নিরঞ্জন পল্লীর দুই ভাইয়ের গল্প যেন চরম বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরল। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ এক ব্যক্তি ছুটে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে জানায় সে খুন করেছে তার দাদা কে! সেই কথা শুনে বাঁশদ্রোনি থানার কর্তব্যরত অফিসার ছুটে যায় নিরঞ্জন পল্লীর টালির ছাড়নি দেওয়া ভাড়া বাড়িতে। শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন তার দাদা দেবাশিষ চক্রবর্তীকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে সে আত্মসমর্পণ করতে চায়।
advertisement

তদন্তকারী অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেকটাই অবাক হয়ে যায়, তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের সময় সন্দেহ দানা বাঁধে তদন্তে প্রথমেই। দেখা যায় মৃত দেবাশিষ চক্রবর্তীর পাশে রয়েছে জলের বাটি ও মাথায় কাপড়ের পট্টি। সাধারণত সময় মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করতে গেলে যে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয় তার বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই। দেবাশিষের দেহ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায় সেরিব্রাল হেমারেজের জন্যই মৃত্যু হয়েছে।  তদন্তকারীদের প্রশ্ন তাহলে কেন বলছে তার ভাই খুন করেছে? খুনের দায়ে জেল খেটে লাভ কি? পুলিশের হাজারো প্রশ্নের উঠে আসে চরম আর্থিক অবস্থার কথা।

advertisement

আরও পড়ুন - Panchang: পঞ্জিকা ১৮ জুন: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন

শুভাশিস চক্রবর্তী পুলিশকে জানায় তাঁর দাদার নির্দেশ ছিল মৃত্যুর পরে যেন বালিশ চাপা দিয়ে খুনের গল্প পুলিশকে জানায় তার ভাই, আদতে দাদার মৃত্যুর পরে ভাইয়ের খাদ্যের যোগানের একমাত্র স্থান হতে পারে ওই জেল! পুলিশ জানতে পারে মায়ের মৃত্যুর আগে পেনশন ছিল সংসার চালানোর রসদ, পরে মায়ের মৃত্যুর পরে দাদার পেনশনের পনেরো হাজার টাকা ছিল একমাত্র সম্বল দু-ভাইয়ের। দাদার মৃত্যুর পর বেকার ভাইয়ের কি হবে তা চিন্তা ছিল সব সময়,  তখন দুবেলা খাবারের যোগান পাবার জন্য খুনের নাটক করতে বলে দাদা দেবাশিষ চক্রবর্তী।

advertisement

পুলিশ জানতে পারে মায়ের মৃত্যুর পরে শুভাশিস গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করতেও সফল হয়নি, পরে দাদার মৃত্যুর পরে গলায় দাড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে টুল পড়ে গিয়ে বেঁচে যায় শুভাশিস চক্রবর্তী। পুলিশ সূত্রে খবর তার রোজের খাবারের সমস্ত ব্যবস্থা করছে পুলিশ,  থানায় রেখে তার দেখাশোনা করছে পুলিশ। এমনকি তা বি-কম যোগ্যতা থাকার দরুণ তার জন্য কাজের ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে বাঁশদ্রোনি থানা। শুভাশিস চক্রবর্তীর মানসিক অবসাদ দূর করতে মনোবিদেরও সাহায্য নেবে পুলিশ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোয় নৈহাটি যেতে না পারলে চলে আসুন 'এখানে'! দর্শন পাবেন 'বড়মা'র
আরও দেখুন

Susovan Bhattacharjee

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Bansdroni Case: দাদার মৃত্যুর পর খুনের নাটক ভাইয়ের, মনোবিদ দেখানোর পাশাপাশি ছোট ভাইয়ের জন্য চাকরি খুঁজছে পুলিশ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল