কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায় দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের তুলনায় তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে অভিযোগ দায়ের করার সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। একাংশের গোয়েন্দাদের মতে, বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতা মূলক প্রচারের মাধ্যমে তুলনামূলক কমেছে অভিযোগের পাহাড়। এছাড়াও কলকাতা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করার আগে বিভিন্ন মাধ্যমে মারফত জানানোর সংখ্যাটাও কমেছে গত বছর। ২০২১ সালে তথ্য অনুযায়ী ৩৯৬৭ টি অভিযোগ মৌখিকভাবে বা বিভিন্ন মাধ্যমে জানানো হয়েছে কিন্তু তা লিখিত নয়। একইভাবে ২০২২ সালে সেই সংখ্যাটি কমে হয় ২৭০০। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাসরর হানার সময় গোটা রাজ্যবাসী ছিল গৃহবন্দি, সেই সুযোগ নিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন কাজের সুবাদে নানা সময় সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছে এই রাজ্যে মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন - Weather Update: আজ সকালেই শীতে হাড়কম্প! সামনে হুড়মুড়িয়ে কমবে তাপমাত্রা, প্রবল শৈত্যপ্রবাহের Alert
আরও পড়ুন - পথ অবরোধ ঘিরে পুলিশ-বিজেপি ব্যপক ধস্তাধস্তি শিলিগুড়িতে, দুই বিধায়ক গ্রেফতার, তারপর...
গত ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে কমার কারন সচেতনতা হলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে করোনা কালে প্রযুক্তি নির্ভর হবার জন্যই বেড়েছিল সাইবার প্রতারণা। কলকাতা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ অভিযোগ দায়ের করেছেন ছবি বিকৃত করা, নাম নিয়ে প্রতারণা করা, ভিডিও কল করে প্রতারণার মাধ্যমে। ৩০ শতাংশ মূলত অনলাইন প্রতারণার অভিযোগ হয়েছে গত ২০২২ সালে, যার মধ্যে আছে অনলাইনে টাদা আদানপ্রদানের পদ্ধতিতেই জালিয়াতি। আরও ১০ শতাংশ মূলত হ্যাকিং করে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায়। বাকি ১০ শতাংশ যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা। যদিও এখনো হিসাবে করে দেখা গেছে অভিযোগ দায়ের করার পরে প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশ শতাংশ অর্থ আটকাতে পেরেছে সাইবার থানা তদন্ত করে। প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল মাঝে মধ্যেই সাইবার প্রতারণার উপর বিশেষ নজর দেবার পরামর্শ দেন, এবার সাইবার প্রতারণায় অভিযোগ দায়ের সংখ্যা কমায় অনেকটাই আশার আলো দেখছে লালবাজার বলে মনে করে পুলিশের একাংশ।
Susovan Bhattacharjee
