ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে শনিবার সকাল ১১.২০ নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে রাজা কাটরার কাছে টহল দিচ্ছিলেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেকটর শৌভিক চক্রবর্তী। কর্তব্যরত অবস্থাতেই দেখতে পান স্কুল ইউনিফর্ম পরা এক কিশোরীকে। সে অঝোরে কাঁদছে। সাহায্য চাইছে এর ওর কাছে। তাকে জিজ্ঞাসা করে শৌভিক জানতে পারেন তার মাধ্যমিক পরীক্ষার আসন পড়েছে শ্যামবাজারের আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে। কাঁদতে কাঁদতে কিশোরী জানায় সে নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা। তার পরিবারে সকলে দাদুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে গিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বিয়ের মাঝে হৃদরোগ, ছাদনাতলাতেই নিথর বধূবেশী দিদি, বোনের সঙ্গে বিয়ে হল পাত্রের
বাড়ির এই পরিস্থিতিতে তার বেরতেও দেরি হয়েছে। ফলে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো অসম্ভব হয়ে দেখা দেয় কার্যত। তাই সাহায্যের আশায় কাঁদতে কাঁদতে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছিল। পরিস্থিতি বুঝে কালক্ষেপ না করে নিজের গাড়িতে তুলে নেন শৌভিক। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়ে তৈরি করান গ্রিন করিডোর। রাস্তায় কোথাও কোথাও এক মুহূর্ত না থেমে বিদ্যুতের বেগে গাড়ি পৌঁছে যায় পরীক্ষাকেন্দ্রে। তখন ঘড়িতে বাজছে সাড়ে এগারোটা। ঘটনার নাটকীয়তায় বিস্ময়ে হতবাক ওই পরীক্ষার্থী। কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে ফের কাজে ফিরে যান ইনস্পেক্টর শৌভিক চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন : ৫১২ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভ মাত্র ২ টাকা ৪৯ পয়সা! কৃষকের মাথায় হাত
কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপে অভিভূত নেটিজেনরা। তাঁরা কুর্নিশ জানিয়েছেন মানবিকতার এই মুখকে।