গত বছরের ২৫ নভেম্বর পোস্তা এলাকার ওই সরষের তেলের গোডাউন গুলিতে হানা দিয়ে প্রচুর ভেজাল সরষের তেল উদ্ধার হয়। তার পরিমাণ ছিল বেশ কয়েক হাজার লিটার। বেশিরভাগই ছিল ১৫ লিটারের টিন ছিল। ২ ফেব্রুয়ারি তেলের নমুনার রিপোর্ট হাতে পায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তারা। সেই রিপোর্টে দেখা যায় সরষের তেলে নিম্নমানের কমদামী তেল মেশানো রয়েছে। কোথাও কোথাও রং পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে। চিকিৎসকরা যেখানে খাঁটি সরষের তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন, সেখানে এই নিম্নমানের তেল দিনের পর দিন খাওয়া কততা ক্ষতিকারক, তা নিয়েই উদবেগ বাড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টির সর্তকতা, কোন কোন জেলায় বৃষ্টি হবে? জানুন Latest Updates...
সরষের তেলের সঙ্গে অন্য কোনও তেল মিশলে, সেই তেল মানুষের শরীরে ক্ষতি করে। সেই রকম ঘৃণ্য অপরাধ চলছিল দিনের পর দিন ধরে। ওই তেল মার্চেন্টের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।মার্চেন্টরা ইতিমধ্যেই কেউ কেউ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জামিন নিয়ে নিয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় মানুষের খাদ্য নিয়ে যারা প্রতারণা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনও শাস্তির নিদান দেওয়া হয়নি।সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যের দিকে এবং আর্থিক দিকে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এ দিন পোস্তা এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ব্যবসায়ীরা এখনও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন এই নিম্নমানের তেল বিক্রির অভিযোগ আসার পরেও তা নিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
SHANKU SANTRA