গত বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্যাংরার অতুল শূর রোডের দে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দুই মহিলা এবং এক কিশোরীর দেহ৷ প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছিলেন বাড়ির দুই ছেলে প্রণয় এবং প্রসূন দে৷ দে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রণয় দের স্ত্রী সুদেষ্ণা এবং প্রসূন দের স্ত্রী রোমি ও কন্যা প্রিয়ম্বদার দেহ৷ প্রণয়, প্রণয়ের ছেলে এবং প্রসূনকে ই এম বাইপাসের উপরে একটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ৷ তার পরই এই ঘটনা সামনে আসে৷
advertisement
আরও পড়ুন: আদৌ মিলল কাটা মুণ্ডু? কার দেহ গঙ্গায় ফেলতে এসেছিল মা-মেয়ে? পুলিশি তদন্তে হাড়হিম তথ্য সামনে
প্রাথমিক ভাবে প্রণয় এবং প্রসূন দের দাবি ছিল, তাঁরা সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ সেই জন্য পায়েসের সঙ্গে মিশিয়ে ঘুম এবং রক্তচাপের ওষুধ খান বাড়ির সবাই৷ তার পরেও মৃত্যু না হওয়ায় নিজেদের স্ত্রীর হাতের শিরা কেটে এবং ১২ বছরের কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন দুই ভাই৷ জিজ্ঞাসাবাদে অবশ্য প্রসূন এবং তাঁর ছেলে দাবি করেছেন, সবার হাতের শিরা কেটেছিলেন প্রসূনই৷
এ দিন ট্যাংরার ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে নগরপাল মনোজ ভার্মা বলেন, ‘ওনারা আমাদের যা যা বলেছেন আমরা সবটাই যাচাই করে দেখছি তা সঠিক কি না৷ এই মুহূর্তে আমরা কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই৷ তবে দুই ভাই মিলেই যে গোটা ঘটনা ঘটিয়েছেন, অন্য কেউ ছিল না, এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত৷ সম্ভবত ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও উদ্দেশ্য থেকেই এটা করা হয়েছে৷ অপরাধ হয়েছে, তাতে যাঁরা জড়ি তাঁদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’
এই মুহূর্তে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রণয় এবং প্রসূন দে এবং দে বাড়ির ওই কিশোর৷ যদিও দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁদের কথায় বেঁচে না থাকার ইচ্ছে প্রকাশ পেয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ ফলে হাসপাতালেও তাঁদের কড়া নজরদারিতে রাখা হচ্ছে৷
অন্যদিকে প্রণয় দে-র কিশোর পুত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে৷ নগরপাল এ দিন বলেন, ‘ওই কিশোরের আত্মীয়দের সঙ্গে আমরা কথা বলছি৷ যদি কেউ দায়িত্ব নিতে রাজি না হয় তাহলে নিয়ম মেনেই সব করা হবে৷ ওর যাতে আর ক্ষতি না হয়, আমরা সেটা দেখছি৷’