পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ও গুলি। বজবজের দিক থেকে তারা তারাতলায় এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। কোনও অসৎ উদ্দেশ্যেই তারা জড়ো হয়েছিল বলে ধারণা পুলিশের। গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুজনের নাম সৌমেন মালাকার ওরফে নীল এবং নিশান চৌধুরী ওরফে গোলু। শনিবার রাতে তারাতলা রোডে নাকা চেকিং চলার সময় তাদের গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন কলকাতার পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা। তখনই তাদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি সেভেন এমএম পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি। সঙ্গেসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় দু'জনকে।
advertisement
বস্তুত রবিবার, ভোটের দিন কলকাতায় অশান্তির আশঙ্কা করছে পুলিশও। তাই ভোটের আগে থেকেই শহর শান্ত রাখতে তৎপর হয়েছে পুলিশ। রাতভর চলেছে নাকা তল্লাশি। সেই সময়ই তারাতলাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রেফতার দুই যুবক। কী উদ্দেশ্যে তারা আগ্নেয়াস্ত্র বা কার্তুজ নিয়ে কলকাতায় ঢুকছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুই যুবককেই আজ আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: জলে-স্থলে পেট্রোলিং, ১৪০ বাইকের চড়কিপাক, 'অগ্নিপরীক্ষা' জিততে মরিয়া কলকাতা পুলিশ
ভোটের আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে নাকা চেকিং করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। চারচাকা থেকে আরম্ভ করে দু চাকা, সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে আরম্ভ করে গাড়ির সিটের তলা, সমস্ত কিছুই তল্লাশি করছেন পুলিশ কর্মীরা। শহরের বিভিন্ন হোটেলের রেজিস্টারও খতিয়ে দেখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। আজ শান্তিতে নির্বিঘ্নে নির্বাচন করানো কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কলকাতা পুলিশের ২৩ হাজার কর্মীকে ভোটের কাজে নামানো হয়েছে বলে খবর। রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে ৫৫০০ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্র থেকে দুশো মিটার অবধি ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় ২৫ টি QRT টিম থাকছে। থাকছে ৩৪ টি HRFS টিম।
আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকের বুথে চমকের নাম আশির বিজিত রায়চৌধুরী, ভোটের সকালে তিনিই 'প্রথম'
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪০ টি মোটরসাইকেল আজ পেট্রোলিং করবে কলকাতা জুড়ে। কলকাতায় ঢোকার প্রবেশপথগুলোতে মোট ৫০ টি জায়গায় রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ সম্মিলিতভাবে নাকা চেকিং করছে। সঙ্গে হুগলি নদীতে রিভার পুলিশ পেট্রোলিংয়ে থাকছে। প্রতিটি বুথে একজন করে সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার থাকবেন।সঙ্গে অন্যান্য ফোর্সও থাকছে।