রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনে সেনাবাহিনীর একটি ট্রাককে আটকে দিল কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের অভিযোগ, গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চালানো হচ্ছিল। ওই ট্রাকের পিছনেই ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার (সিপি) মনোজ বর্মার গাড়ি। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে ট্রাকটিকে আটকায় ট্র্যাফিক পুলিশ। পরে খবর দেওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রাকটি বিপজ্জনক ভাবে ডান দিকে বাঁক নিয়েছিল। ফলে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার জন্য গাড়িটিকে দাঁড় করানো হয়। যদিও ওই ট্রাকে থাকা সেনাবাহিনীর এক কর্মী অভিযোগ অস্বীকার করেন।
advertisement
অন্যদিকে, সোমবার সেনাবাহিনী মেয়ো রোডে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের ধর্না মঞ্চ খুলে দেয়। খবর পাওয়া মাত্রই মেয়ো রোডে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সোমবার দুপুরেই মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ খুলে দিতে শুরু করে সেনাবাহিনী৷ বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদেই মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির সামনে এই ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে ৷
মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর পরই ঘটনাস্থল ছেড়ে ফিরে যান সেনা আধিকারিক এবং জওয়ানরা৷ মেয়ো রোডের আধখোলা মঞ্চে উঠে মমতা বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘আমাদের মাইকের কানেকশন কেটে গিয়েছে, সেনার জন্য আমরা গর্বিত৷ কিন্তু সেনাবাহিনীকে যদি বিজেপির কথায় চলতে হয়, তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক৷ এখানে কোথাও রাস্তা বন্ধ করা হয়নি, গাড়ি চলতে অসুবিধা হচ্ছে না৷ শনি-রবিবার এখানে ধর্না কর্মসূচি হয়৷ পুলিশকে বলতে পারত, তাহলে আমরা নিজেরাই মঞ্চ খুলে অন্যত্র সরিয়ে নিতাম৷ প্রায় দুশোর মতো সেনা জওয়ানরা আমাকে দেখে ছুটে পালিয়ে গেল৷ আমি বললাম, পালাচ্ছেন কেন, আপনারা আমাদের বন্ধু৷ আমি সেনাকে দোষ দিচ্ছি না, এটা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, বিজেপির কথায় হয়েছে৷ সেনাকে রাজনৈতিক দলের মঞ্চ, মাইক খুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে, সবাই দেখতে পাচ্ছে৷’
ইতিমধ্যেই মেয়ো রোডে তৃণমূলের মঞ্চ খোলা নিয়ে বিতর্কে বিবৃতি জারি করেছে সেনাবাহিনী৷ সেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দু দিনের জন্য অনুমতি নেওয়া হলেও প্রায় এক মাস ধরে মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির সামনে অস্থায়ী ধর্না মঞ্চ তৈরি করে রেখেছিল তৃণমূল৷ পাশাপাশি, সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তিন দিন অথবা তার বেশি সময়ের জন্য সেনার অধীনস্থ এলাকায় অনুষ্ঠান অথবা কর্মসূচির জন্য দিল্লির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে অনুমতি নিতে হবে, যা নেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব৷