স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আগুনের পেছনে চক্রান্ত থাকতে পারে। পাশের দোকানের কর্মী মহম্মদ ইফতেকার জানান, সুরেশ কুমার ডাগা নামে এক দোকানমালিক দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিতেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই ব্যক্তি বারবার বলত দোকান ছেড়ে না দিলে আগুন লাগিয়ে দেবে। আমরা এফআইআর করব।’’
টাকা দিয়েও আরাম অধরা! যে সিটগুলো এড়িয়ে চলছেন বন্দে ভারত যাত্রীরা, কারণ জানিয়ে ছবি পোস্ট করলেন সবাই
advertisement
৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্তোষ কুমার পাঠক জানান, বহুবার ফায়ার ব্রিগেড, মিউনিসিপ্যালিটি এবং পুলিশকে চিঠি দিয়ে তিনি এই বিল্ডিংকে বেআইনি বলে সতর্ক করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমি বহুবার বলেছি এখানে আগুন লাগতে পারে, আগেও লেগেছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ হয়নি।’’
অগ্নিনির্বাপণ দফতরের এডিজি অভিজিৎ পান্ডে জানান, আগুন এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং পকেট ফায়ার চিহ্নিত করে নেভানোর কাজ চলছে। তাঁর কথায়, ‘‘বেগ পেতে হয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল।’’
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ডিজি ফায়ার রণবীর কুমারও। দমকলের দাবি, কাউন্সিলরের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আগে জমা পড়েনি। মোট ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত রয়েছে এবং দমকল কর্মীরা এখনও আশপাশের বিল্ডিংগুলি পর্যবেক্ষণ করছেন যাতে আগুন আর কোথাও ছড়িয়ে না পড়ে।
আশপাশে বেশ কিছুটা এলাকা আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, এজরা স্ট্রিটের যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে পাশাপাশি অনেকগুলি বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকান এবং গুদাম আছে । সেখানে দাহ্য পদার্থ থাকার কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। পাশের বহুতলে আগুন অনেকক্ষণ আগেই ছড়িয়ে পড়েছে, সকাল থেকে ওই বহুতলের একাধিক তলে আগুন জ্বলছে। ৫-৬ তল এবং একদম উপরের তলে সবথেকে বেশি আগুনের তীব্রতা।