ফের অমানবিক ছবি শহরে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে অমান্য করার আরও এক উদাহরণ। সোমবার সকালে বরানগরে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় দুই খুদে স্কুল পড়ুয়ার। আহত হয় বাইকচালক ও তাঁর আরেক ছেলে অনুরাগ যাদব। চারজনকে বেলঘরিয়ার জেনিথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বিশ্বনাথের এক ছেলে ও তাঁর দাদার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গুরুতর অনুরাগের বিশ্বনাথের আরেক ছেলে অনুরাগকে মিন্টো পার্কের নার্সিং হোমে রেফার করে জেনিথ।
advertisement
প্রতিবেশি এবং বরানগর থানার সাবইনস্পেক্টর রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় অনুরাগকে নিয়ে যান নার্সিংহোমে। কিন্তু তাকে ভরতি নিতে অস্বীকার করে নার্সিং হোম। । তাদের দাবি, আগে পঞ্চাশ হাজারের চেক কিংবা নতুন নোট জমা দিতে হবে। পুলিশের অনুরেধেও কাজ হয়নি। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে এক ঘণ্টা এই অবস্খায় বাইরেই পড়ে ছিল অনুরাগ। পরে তাকে এসএসকেএমে ভরতি করায় পুলিশ।
অনুরাগের কিছু হলে তার দায় কে নেবে? প্রশ্ন আত্মীয়,প্রতিবেশীদের।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। তাও কেন এত গুরুতর আহতকে ফিরিয়ে দিল নার্সিংহোম? সদুত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
আশংঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএমের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে চিকিৎসাধীন অনুরাগ। তার ব্রেন হেমারেজের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এই অবস্থায় কিভাবে তাকে ফিরিয়ে দিল নার্সিংহোম তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।