এর আগে বৈঠকে কলকাতা পুলিশ, নগরোন্নয়ন দফতর, কলকাতার পুর কমিশনার,দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, বিদ্যুৎ দফতর, পূর্ত দফতর, সেনা, কলকাতা মেট্রো, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন এবংসমীক্ষা সংস্থা রাইটস-এর শীর্ষ কর্তারা হাজির ছিলেন। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিকল্প বাস স্ট্যান্ড এবং অন্যান্য যানবাহনের ‘মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব’ তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে রাইটস। এসপ্লানেড তথা ময়দানএলাকার জমি যেহেতু সেনাবাহিনীর অধীন, তাই তাদের অনুমতিও নিতে হবে। ধর্মতলা চত্বরে জোকা-এসপ্লানেড মেট্রোর নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ময়দান মার্কেট ও নিকটবর্তী ওই বাস স্ট্যান্ড সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টকে জানিয়েছে, বাসস্ট্যান্ড নিয়ে সমীক্ষার জন্য রাইটসকে নিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে বহুতল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই সমীক্ষার জন্য চার সপ্তাহ সময় লাগবে।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘কোনও টাকাই ধার নিইনি’, ২৫ কোটির গুজব রটতেই মুখ খুলে সাফ জানালেন সামান্থা
আরও পড়ুন- আর একটু হলেই বেরিয়ে আসত…বন্ধু এসে উদ্ধার করল দিশাকে, তারপর যা হল…
যার পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, বাসস্ট্যান্ড নিয়ে কাজ কতটা এগোচ্ছে, তা সরকারকে ১৫ সেপ্টেম্বরে পরবর্তী শুনানির মধ্যে জানাতে হবে।২০১৪ সালে হাই কোর্টের নির্দেশেই ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরকরণের প্রসঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি হয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিতে বন্দরের প্রতিনিধিও ছিলেন। তখনই ৩০ বছরের লিজ় চুক্তিতে রাজ্য সরকারকে ওল্ড গরাগাছা রোডে ওই জমি দিয়েছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত RITES সমীক্ষা করে একটা রিপোর্ট পেশ করবে৷ তার ওপরে অনেকটাই নির্ভর করে থাকবে। তবে পরিবেশবিদদের বক্তব্য, দূষণ ঠেকাতে এই বাসস্ট্যান্ড সরানো হোক৷ তবে বাণিজ্যিক ভাবে বাস মালিকরা এটা কতটা গ্রহণ করবে সেটাই প্রশ্ন৷