শনিবার ৯ ডিসেম্বর ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে পানীয় জলের মিটার চুরির অভিযোগ নিয়ে আসা হয়। পাটুলির এক বাসিন্দা ফোন করে মেয়রকে এই ঘটনা জানান। অভিযোগ পেয়েই পানীয় জল সরবরাহ বিভাগ আধিকারিকদের বিষয়টি দেখতে বলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: কুয়াশার দাপট রাজ্য জুড়ে! হু হু করে নামছে পারদ, কলকাতায় তাপমাত্রা কত? আবহাওয়ার বড় আপডেট
advertisement
আগের তুলনায় জল সংকট অনেকটা কমলেও কলকাতা শহরে পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে নানান অভিযোগ ওঠে। একদিকে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল সংকট। অন্যদিকে, একাধিক ওয়ার্ডে পানীয় জলের অপচয়। পানীয় জলের অপচয় রুখতে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছিল ওয়াটার লস ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক, কিন্তু শিক্ষার্থী নেই একটিও, উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ
এই সমস্যা লাগাম দেওয়ার জন্যই কলকাতায় শুরু করা হয়েছিল এই ম্যানেজমেন্ট। কলকাতার টালা ট্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয় এই প্রকল্প। পরে উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা প্রায় দশটির বেশি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি ওয়ার্ডে। ওয়াটার লস ম্যানেজমেন্টে বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহের লাইনে লাগানো হয় ওয়াটার মিটার।
তবে সম্প্রতি পাটুলি, বৈষ্ণবঘাটা টাউনশিপ এলাকায় শুরু হয় চুরির ঘটনা।বৈষ্ণবঘাটা টাউনশিপে প্রায় শতাধিক বাড়ির ওয়াটার মিটার চুরি হয়ে যায়। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে শোরগোল।
নভেম্বর মাস থেকে এই চুরির ঘটনা নজরে আসে। নাগরিকরা পাটুলি থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। কলকাতা পুরসভাকেও বিষয়টি জানানো হয়। পুরসভারর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন করে মিটার লাগাতে হবে। নতুন করে মিটার বসানোর প্রক্রিয়া শেষ করতে লাগতে পারে এক বছর। এই জলের মিটার চুরির ধাক্কায় জেরবার কেইআইআইপির এই প্রকল্পের আধিকারিকরা। মিটার চুরি এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে একটা বড় ধাক্কা।
যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন সাংবাদিকদের জানান, শহর জুড়ে সব ওয়ার্ডেই বসবে পানীয় জলের মিটার। প্রয়োজনে মিটার চুরি রুখতে বদলে দেওয়া হবে ডিজাইন। যেভাবে জলের অপচয় হয়, তা রুখতে পারলে কলকাতায় পানীয় জলের অভাব থাকবে না বলেও জানান মেয়র।