নির্দেশিকা বলছে, একসঙ্গে ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। হাতে লাঠি, প্রাণঘাতী অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র-সহ থাকলে আইনি ব্যবস্থার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রেড রোডে দুর্গাপুজোর বিশেষ কার্নিভাল চলাকালীন বাধা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এমন কোনও কিছু করা যাবে না।
নির্দেশিকা না মানলে নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপের হুশিয়ারি কলকাতা পুলিশের।
advertisement
একদিকে রেড রোড জুড়ে চলছে বিসর্জনের বিশেষ শোভাযাত্রা অর্থাৎ কার্নিভালের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। অন্যদিকে কার্নিভালের সময়ই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী ডাক্তার, বিভিন্ন ডাক্তার সংগঠন এবং নাগরিক সমাজের ডাকে দু’দুটি কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি কর্মসূচিরই আপাতত ঘোষিত স্থান রেড রোড থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে আর আর এভিনিউ অর্থাৎ রানী রাসমণি রোডে। গোটা ধর্মতলা চত্বরে একদিকে যেমন ১৬৩ ধারা জারি করে পাঁচজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা পুলিশ, তেমনই রানী রাসমণি রোডে বিশেষ প্রস্তুতি দেখা গেল কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে।
সকালবেলায় আপাতত যান চলাচলের জন্য দুই লেন বিশিষ্ট রানী রাসমণি রোডের একটি লেন খোলা থাকলেও অপর একটি লেন ইতিমধ্যেই ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া নির্দিষ্ট অংশটিতে মানববন্ধন করার অনুমতি পেতে পারেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।
কিন্তু অপর একটি কর্মসূচি অর্থাৎ দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি বা তার রুট নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা জারি রয়েছে। রানী রাসমণি রোডের পাশে যে জায়গাটিতে মেট্রোর গ্রিন লাইনের কাজ চলছে তার এন্ট্রি পয়েন্ট অর্থাৎ মোড়ের অনেকটা আগেই রানী রাসমণি রোড জুড়ে ৬ ফুট বিশেষ উচু লোহার গার্ড রেল বসানো হয়েছে। সকালবেলায় যান চলাচলের জন্য গার্ড রেলের কিছুটা অংশ আপাতত খোলা রাখলেও বেলা দুটোর পর পুরো রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। সকাল থেকেই গোটা ধর্মতলা চত্বর জুড়েই প্রচুর পুলিশ কর্মী এবং পুলিশ আধিকারিকরা রয়েছেন।
বিবেক দাস