পুলিশ সূত্রে খবর, এই ফ্ল্যাটটি একজন তান্ত্রিকের। তার নাম সৌরভ চৌধুরী। দমদম প্রাইভেট রোডের আমবাগান এলাকায় ওই তান্ত্রিকের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে রহস্যভেদ করে পুলিশ। কিন্তু ওই ফ্ল্যাটে মানুষের মাথার খুলি কোথা থেকে এল সেটা বেশ ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের। জ্যোতিষ ও তন্ত্র সাধনার নামে বেআইনি দ্রব্য পাচারের অভিযোগে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হল—রাখাল চৌধুরী, দুলাল অধিকারী এবং অরিজিৎ গুপ্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: ৬ দিনে সাড়ে ৬ কোটি! দিল্লি গিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল? বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘ ৪০ বছরের ধরে ওই এলাকায় বাস অভিযুক্তদের। পাড়ায় মেলামেশা করত না ওই বাড়ির কোনও সদস্য। বাড়িতে তন্ত্রসাধনা চলত। সৌরভের স্ত্রী মিঠু চৌধুরী বিষয়টি পুলিশ ও তার আইনজীবীকে জানাতেই গোটা ঘটনার পর্দাফাঁস হয়। রাখাল চৌধুরীর বাড়ি ছাড়াও দুলাল অধিকারীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে বন্য জীবজন্তুর চামড়া। ধৃতরা চোরাচালান কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশ মনে করছে।
আরও পড়ুন: অনুব্রত দিল্লিতে, বীরভূমের জন্য এবার মদন মিত্র? দলের কাছে বিরাট প্রস্তাব কামারহাটির বিধায়কের
সৌরভের স্ত্রী মিঠু চৌধুরী থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করে পুলিশকে জানান, বাড়িতে তাঁর স্বামী হরিণের শিং, চামড়া, বাঘের নখ মজুত করেছে। ওই খবর পেয়েই ডিএফও’র নেতৃত্বে বন দফতর ও পুলিশ একসঙ্গে ফ্ল্যাটে হানা দেয়। দুলাল অধিকারী পেশায় কেবল অপারেটর। তার বাড়ি থেকেও উপরোক্ত জিনিসগুলোর কিছু অংশ উদ্ধার করেছে বন দফতর। জানা গিয়েছে, পরিবারে কিছু অশান্তির জেরে ওই তান্ত্রিকের স্ত্রীর মারফত প্রশাসনের কানে যায় বেআইনি জিনিস মজুতের কথা। এই যৌথ অভিযান শুরু হওয়ার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সৌরভের স্ত্রী। এই মুহূর্তে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।