পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পাথুরিয়াঘাটায় প্রায় ১০০ বছর পুরনো একটি পাঁচ তলা বাড়ির তিন তলার একটি অংশ ভেঙে পড়ে। বিকট শব্দে বাড়ির বাসিন্দারা ভয়ে বাইরে বেরিয়ে চলে আসেন। খবর পেয়ে আসে দমকল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন এক দম্পতি এবং এক নাবালক। দমকলের সাহায্যে রাত তিনটে নাগাদ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। বাকি দু’জনের চিকিৎসা চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ওই মহিলার স্বামীর পরিস্থিতিও আশঙ্কাজনক।
advertisement
জানা গিয়েছে, ১৬টি পরিবার থাকত সেখানে। মৃত ইলা আগরওয়াল চার তলায় থাকতেন। ইলার স্বামী অজয় আগরওয়ালের ৫৩ বছর বয়স। তাঁর অবস্থাও খুব আশঙ্কাজনক। অজয় একটি শাড়ির দোকানে কাজ করত। ঘটনার সময় ইলা, অজয় ও ছেলে রাঘব আগরওয়াল (১৫) ঘরেই ছিল। রাঘব ঘরে আটকে পড়েছিল। সে শারীরক ভাবে আহত হয়নি। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছুটা ট্রমার মধ্যে আছে সে।
আরও পড়ুন: চার ঘণ্টা লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ, লালবাজারে পুলিশের প্রশ্নবাণে যাদবপুরের রেজিস্ট্রার
২০০১ সালে প্রদীপ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি মাত্র ১৪ লাখ টাকায় ভাড়াটিয়া সমেত কিনেছিল নিয়েছিল বাড়িটি। ২২ কাঠা জমি এটি। পাঁচ তলা বাড়িটি সম্পূর্ণ ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এই বাড়িটিতে কর্পোরেশন তিন বছর আগে বিপজ্জনক বাড়ি হিসাবে নোটিস দিয়ে যায়।