উদ্ধার হয় বড় বড় প্রসাধনী কোম্পানির নকল প্রোডাক্ট। এই নকল প্রোডাক্টগুলি দেখে আসলের সঙ্গে একেবারে আলাদা করা যায় না। পুলিশ সূত্রে খবর,আজ দুপুর নাগাদ কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ৩/১/২ আর্মেনিয়া স্ট্রিটের একটি দোকানে হানা দেয়। আগে থেকেই অভিযোগ ছিল ওই দোকানে প্রচুর পরিমাণে নামী দামি কোম্পানির নকল প্রসাধন সামগ্রী হোলসেল হচ্ছে। চোখের কাজল থেকে আইলাইনার, ফেসপ্যাক,লিপস্টিক সমস্ত কিছু ওখানে বিক্রি হচ্ছে যা নকল।
advertisement
কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক যুগল কিশোর দাঁ ওই দোকানে গিয়ে দু'লক্ষ টাকা পরিমাণে নামী দামি কোম্পানির প্রসাধনী উদ্ধার করে। গোয়েন্দারা জানতে পারে প্রথম সারির বেশ বড় কোম্পানির সমস্ত প্রসাধনী নকল বিক্রি হচ্ছিল। শুধু আজ নয়। দীর্ঘ দিন ধরে এখানে এই ধরনের সামগ্রী বিক্রি হচ্ছিল। এই ধরনের নকল সামগ্রীর বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, নকল প্রসাধনের তৈরিতে যা ব্যবহার করা হয়,সেগুলির মান নিশ্চিত খারাপ হতে পারে।
আরও পড়ুন- ৮ বছরের সম্পর্কে চিঁড়! প্রেম জোড়া লাগাতে দম্পতিকে বিশেষ দাওয়াই বিচারপতির
যার ফলে চোখের সংস্পর্শে গেলে,চোখের নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। ত্বকের সমস্যা তৈরি হতে পারে। আদতে নকল সামগ্রী মানব শরীরের পক্ষে ভয়ঙ্কর বিপদের। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বড়বাজার থানায় কপি রাইট অ্যাক্টে ও প্রতারণার মামলা করেছে ওই দোকানদারের নামে। তবে দোকানের মালিক ঘটনাস্থলে ছিল না। ম্যানেজার আজারুদ্দিন খান পুলিশের প্রশ্নে সেরকম কোনও সন্তুষ্টজনক উত্তর দিতে পারেননি। তবে এই চক্র আরও কাজ করছে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। সেদিকে নজর রেখেছেন তাঁরা।