ভারতীয় মুদ্রা ছাড়াও বাংলাদেশি টাকা, ডলারেও টাকা নিয়েছেন পাক নাগরিক আজাদ হোসেন। বিনিময়ে অনুপ্রবেশকারীদের তৈরি করে দিয়েছেন ভারতীয় আধার, ভোটার ও পাসপোর্ট। আর সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে। আজাদের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে অভিযোগ এনেছে ইডি।
advertisement
এখানেই শেষ নয়, ১৯৯৪ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসেন আজাদ। তারপর বেশ কয়েকরার বেআইনি অনুপ্রবেশ করে এদেশে এসেছিলেন। তারপর ২০১৩ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে এখানেই থাকতে শুরু করেন। নথি জাল করে তৈরি করেন নিজের আধার, প্যান, দুটো ভোটার কার্ড ও একটি ভারতীয় পাসপোর্ট। তৈরি করে নিজের একটা সিন্ডিকেট। যে সিন্ডিকেটে এজেন্ট সাব এজেন্ট ও দালাল রেখে তৈরি করে ফেলেন একটা চক্র। বেআইনি ভাবে বাংলাদেশের নাগরিকদের এদেশে নিয়ে আসা, আশ্রয় দেওয়া এবং তাদের ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা দেওয়া। আর বিনিময়ে কোটি কোটি টাকার লেনদেন।
তদন্ত করতে গিয়ে ধৃত আজাদের ফোন থেকে মিলেছিল একটি পাকিস্তানি গাড়ি চালানোর লাইসেন্স। তা থেকেই প্রথমে তদন্তকারীরা সুনিশ্চিত হন আজাদ আসলে পাকিস্তানের নাগরিক। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তে উঠে এসেছে, ১৯৭১ সালের ১৪ অগস্ট পাকিস্তানের হায়দরাবাদে জন্ম আহমেদ হোসেন আজাদের। বাবা মমতাজ-উল-হক। ১৯৯৪ সালে লাইসেন্স বানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশে আসার পর তার সেখানে বিয়ে হয় বলেও তথ্য উঠে এসেছে। ওসামা বিন আজাদ, ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী ময়মুনা আখতার এখনও বাংলাদেশে থাকেন। তারা সেখানকার নাগরিক বলেও তদন্তে উঠে এসেছে। ১৫ এপ্রিল ইডি আজাদকে গ্রেফতার করে। গত শুক্রবার তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। ৮০ পাতার মূল চার্জশিট ও ৪ হাজার পাতার নথি জমা পড়েছে আদালতে।