বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন সিগন্যাল ছাড়াও, ধর্মতলা সিগনালের কাছে বেশ কিছু মহিলাকে সদ্যোজাত শিশুদের কোলে নিয়ে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। এই শিশুগুলি কোথা থেকে আসে কিংবা শিশুটি কার, মহিলাকে জিজ্ঞাসা করলে খুব বাজে ভাষায় তারা উত্তর দেন। এর আগেও শিশু ভাড়া করে ভিক্ষা করার অভিযোগ অনেকবার উঠেছিল। দেখা যেত শিয়ালদা কিংবা হাওড়া স্টেশনে শিশুদের হাত বদল হতো। মাঝে সেই প্রবণতার অনেকটাই কমে গিয়েছিল।
advertisement
কিন্তু আস্তে আস্তে আবার এই প্রবণতা বাড়ছে। শিয়ালদার দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট গাড়ি ধর্মতলার মুখে সিগনালে দাঁড়ায়। চিরপরিচিত অভ্যাসে, এক মহিলা একটি ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে গাড়িতে বসা লোকটিকে সাহায্য চান। লোকটি কিছুক্ষণ অবাক হয়ে মহিলার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, শিশুটি কার? শিশুটি ঘুমিয়ে কেন? অশ্লীল ভাষায় মহিলাটি লোকটিকে গালাগালি করে, শিশুটির মাথা এমন ভাবে তুলে ধরলেন, হালকা তাকিয়ে শিশুটি আবার ঘুমিয়ে পড়ল।
আরও পড়ুন- দরজায় টোকা দিচ্ছে বেড়াল! একেবারে মানুষের মতোই, ভিডিও দেখে অবাক নেটিজেন
লোকটি এদিক ওদিক তাকিয়ে পুলিশে খবর দেওয়ার জন্য উদ্যত হতেই, মহিলা রাস্তা পার হয়ে অন্য দিকে হাঁটা শুরু করলেন। শুভবুদ্ধির লোকটি গাড়ি থেকে নামলেন বটে। সিগন্যাল সবুজ হতেই বাধ্য হলেন গাড়িতে বসে চলে যেতে। পরিচয় জানা না গেলেও, তিনি জানিয়ে গেলেন যে সোদপুরে থাকেন। নিম্নবিত্ত নাগরিকদের সারা মাসের বেশ খানিকটা খরচ, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জোগায়। তবুও ছোট্ট খুদে শিশুরা শৈশবটা ট্রাফিক সিগনালে কোলে ঘুমিয়ে কাটাচ্ছে। এই ভাবে টাকা রোজগারের চক্র কলকাতায় আবার বাড়ছে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, এই ভাবে ঘুমের ওষুধ দিয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন করলে, খুব ছোট বয়স থেকে-এই শিশুরা মানসিক অবসাদগ্রস্থ হবে। প্রয়োজনে নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে অপরাধ করবেই।