ঘটনার পরেই রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল পুরসভার আলো, নিকাশি ও সিভিল বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধান, ঘটনাস্থলে পাম্প ব্যবহারের জন্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বৈদ্যুতিক তার থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ নিহত কিশোরের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার ল্যাম্প পোস্ট থেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের।
advertisement
কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুরসভা, সিইএসসির আধিকারিকরা। ছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। যান স্থানীয় কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী। তিনি জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন - নখ বলে দেবে শরীরে বিপদ বাসা বেঁধেছে কি না! এই লক্ষণগুলি দেখলেই ক্যানসারের পরীক্ষা করান
যদিও ঘটনার পর থেকেই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ করছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ চুরি হওয়ার জন্য এলাকায় এমন বৈদ্যুতিক তারের ছড়াছড়ি। এলাকায় যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক তার। শুধু তাই নয় নজরদারির অভাবে বিপজ্জনক অবস্থাতেই তা ঝুলছে। এলাকাবাসীর একাংশ জানিয়েছে পাম্পের সাহায্যে জল তোলার জন্য এই বিদ্যুৎ সংযোগ। কিন্তু সেই সংযোগেই পরতে পরতে লুকিয়ে বিপদ।
কোথাও তার কাটা, জুড়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ভাঙা প্লাগেই চলছে পাম্প। এমনকি জলের কলের উপরেই বৈদ্যুতিক সংযোগ, যা বিপদের সংকেত বলেই মানছেন এলাকাবাসী। কিন্তু তারপরেও হুঁশ নেই অনেকের। হরিদেবপুরের ঘটনার সপ্তাহ না ঘুরতেই আরও কিশোরের মৃত্যু নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পুরসভা, সিইএসসি সকলকেই। এমনকি এলাকার এমন অবস্থা জেনেও কেন কোনও ব্যবস্থা আগে নেওয়া হল না তা নিয়েও এলাকারই একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন।