দুর্ঘটনাটি ঘটার পর শিশুটির পরিবারের তরফে তড়িঘড়ি শিশুটিকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন সেই হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকে শিশুটির। কিন্তু একদিন হাসপাতালে থাকার পরে বিলের মোট অঙ্ক প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা পেরিয়ে যায়। বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাড় করতে না পারায় শিশুটিকে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরিবারের তরফে। সেই মতো শনিবার তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে শিশুটিকে ভর্তি করাতে গিয়ে যথেষ্ট ভোগান্তির সম্মুখীন হন পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেক vs শুভেন্দু: ফুটেজ খেতে আমার নাম, দাবি অভিষেকের! পাল্টা 'নাবালক' কটাক্ষ শুভেন্দুর
কাঁধে এবং পায়ে চোট লাগা অবস্থায় শিশুটিকে ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে কেউ তাদের সহযোগিতা করেননি। ইমারজেন্সি বিভাগে ভর্তি করাতে না পেরে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের অভিযোগ সারাদিন ধরে হাসপাতালে থাকলেও তারা ভর্তি করাতে পারেননি শিশুটিকে। এই ঠান্ডায় পরিবারের সঙ্গে আহত শিশুটিকে ট্রমা কেয়ারের বাইরে পড়ে থাকতে হয় রাত পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: রতন টাটা-মুকেশ আম্বানি-আজিম প্রেমজিরা ছোটবেলায় কেমন দেখতে ছিলেন? শিল্পপতিদের এই ছবিগুলি ভাইরাল
পরিবারের দাবি, ইমারজেন্সি বিভাগের টিকিট করানো হলেও হাসপাতালের কর্তব্যরত আধিকারিকদের তরফে জানানো হয় যেহেতু ঘটনাটি দু'দিন আগে ঘটেছে সেই কারণে ভর্তি নেবে না এসএসকেএম হাসপাতাল। ভাঙা পা এবং কাঁধে চোট নিয়ে শিশুটিকে ফেলে রাখা হয় ট্রমা কেয়ার ইউনিটের বাইরে। শেষের সংবাদমাধ্যমের হস্তক্ষেপে খবর যায় হাসপাতালের সুপারের কাছে। এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে।