কলকাতা পুরসভার এলাকার সব সমস্যার সমাধান করতে 'শো টু ইওর মেয়র'। হোয়াটসঅ্যাপে সমস্যার ছবি ও তথ্য পাঠালেই সমাধান করবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়রের অনুকরণে এবার দক্ষিণ কলকাতার কাউন্সিলর। ৭৪৩৯৩২২৯৯৩ এই নম্বরে ফোন করলেই সমস্যার সমাধান করবেন ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সীমা ঘোষ (Kolkata News)।
আরও পড়ুন : ইলিশের দামে হাতে ছ্যাঁকা! সস্তা কিন্তু স্বাদ একই, এই মাছেই তৃপ্ত বাঙালি
advertisement
কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে এই প্রথম বামফ্রন্টের থেকে যাদবপুরের ১০২ নম্বর ওয়ার্ড ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। বরাবর বামেদের ঘাঁটি এই এলাকার গতবারের কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর বিজেপিতে যোগ দেন। এরপরই বিজেপি- বাম এবং তৃণমূলের ত্রিশঙ্কু লড়াইয়ে এই আসনে প্রথম বারের জন্য জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বছর না ঘুরতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নানা উদ্যোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের।
সম্প্রতি হোয়াটস্যাপ (Councillor IN Whatsapp) নম্বর দিয়ে কলকাতা পৌরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাগরিকদের কাছে আহ্বান করছেন যেকোনো সমস্যা হলেই হোয়াটসঅ্যাপে জানান তথ্য ও ছবি সহ। নিকাশী থেকে পানীয় জল যেকোনও সমস্যার সমাধানই করবেন কাউন্সিলর। এই নিয়ে ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রান্তে পড়েছে ব্যানার, পোস্টার। নানান সমস্যার সমাধান করলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পারিবারিক বা জমি সংক্রান্ত কোনো সমস্যার কথা না জানাতে।
কলকাতা পৌরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সীমা ঘোষ জানান, মাত্র কয়েকদিন চালু হয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার (Councillor IN Whatsapp)। এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসিন্দারা তাদের নানান সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থানীয়ভাবে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। যেগুলো বড় সমস্যা সেক্ষেত্রে বরো অফিসে বা কলকাতা পুরসভার প্রধান কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানো হয়েছে (Kolkata News)।
পাশেই বাঘাযতীন এর পাশের ওয়ার্ড ৯৯ নম্বর এ বাম কাউন্সিলর ছিলেন দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়, তিনি বলেন, মেয়র থেকে কাউন্সিলর সবার 'শো' গেম চলছে। প্রকৃত উন্নয়ন নয়, মানুষকে ভাঁওতা দিতেই এই ধরনের চমক আনছেন কাউন্সিলররা। জনগণের জন্য আসল পরিষেবা তলানিতে ঠেকেছে।
৭৪৩৯৩২২৯৯৩ এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করে সব সমস্যার কথা জানাতে আহবান করেছেন কাউন্সিলর। ইতিমধ্যেই বাঘাযতীন জে ব্লক থেকে জল কষ্টের কথা জানিয়েছেন কয়েকজন নাগরিক। আবার নিকাশির সমস্যার কথা জানিয়েছেন বাঘাযতীন ডি ব্লকের বাসিন্দারা। রাজাপুর পঞ্চানন দে রোড থেকেও নিকাশির সমস্যার কথা জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। আবার চিত্তরঞ্জন-কলোনীতে জল কষ্টের সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
একদিকে হোয়াটসঅ্যাপে সমাধান। অন্যদিকে উন্নয়নমূলক কাজও করছেন বলে দাবি কাউন্সিলরের। কাউন্সিলর সীমা ঘোষ জানান, ইতিমধ্যেই বস্তিতে শৌচাগার এবং নিকাশির পাইপ লাইনের কাজ হয়েছে। নিকাশির পাইপলাইন থেকে পলি তোলার কাজও চলছে নিয়মিত। পানীয় জল সমস্যা রয়েছে কিছু এলাকায়। সেই সমস্যার সমাধানে নতুন করে ক্যাপসুল বুস্টার পাম্পিং ষ্টেশন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।