গতকাল বেলেঘাটা থেকে বেশ কয়েকজন যুবক মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিমতলা শ্মশান ঘাটে এসেছিল। ইলেকট্রিক চুল্লিতে দেহ সৎকারের সময় তারা শ্মশানেরই ঘাটে গিয়ে বসে মোবাইলে সেলফি তুলছিল।সেই সময় পুলিশ তাদের জানিয়েছিল রাত ১০:১০ মিনিট নাগাদ গঙ্গায় বান আসবে।তারা যেন পাড়ে উঠে যায়। তবুও তারা ওখানেই বসেছিল। ওদের সঙ্গে আসা রামবাবু কুমার জানাচ্ছিল,তারা নদীর ঘাটের সোপানের নীচ থেকে কিছুটা উপরে উঠে এসেছিল।রামবাবুর ধারণা গঙ্গায় বানের জল অতটা উঁচু হয়ে অতো বেগে আসবে,সেটা তারা জানত না।যার ফলে সামনে বসে থাকা ৮ জন জলের তোড়ে ভেসে যায়।তার মধ্যে ৫ জন কোন ভাবে লোহার খুঁটি ধরে বেঁচে যায়।তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।বাকি তিনজন বানের জলে ভেসে যায়।আজ বেলা ১১:১৫ মিনিট নাগাদ সন্তোষ সোনকার নামে একজনের দেহ ঘাটের একটু দূরে মেলে।
advertisement
আরও পড়ুন: মহিলার ব্যাগ নাকি মানুষ খুনের কারখানা! এসব কী পাওয়া গেল মহিলার ব্যাগে? জানুন
হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।স্থানীয়দের দাবি,বান আসার কুড়ি মিনিট আগেও পর্যন্ত তারা তাদের ওখানে বসে থাকতে বারণ করেছিল। সবাইকে উপরে উঠে আসতে অনুরোধ করেছিল।তখন ওই ছেলেগুলি বলেছিল তারা নাকি স্থানীয় ছেলে। সব কিছু জানে।বান এলে তাদের কিছু হবে না।বারণ অবহেলার সেটা পরিণাম,এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে ওই শ্মশান যাত্রীরা।গতকাল রাত থেকে কলকাতা পুলিশ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের লোকজনেরা গঙ্গা নদী বরাবর লঞ্চ এবং স্পিডবোট নিয়ে খোঁজ শুরু করেছে।সঙ্গে ডুবুরিরা নদীর চারপাশের ঘাট গুলো এবং জেটির তলাগুলো খুঁজে দেখেছে।দেহ একটি পাওয়া গেলেও,রাত পর্যন্ত ভিকি সিং ও দীপক যাদবের খোঁজ মেলেনি।
SHANKU SANTRA