এখনও পর্যন্ত যে-টুকু তথ্য সামনে এসেছে, তার থেকে জানা যাচ্ছে, স্বামীর বুকে বুলেটের চিহ্ন রয়েছে। স্ত্রীকে ছুরি বা অন্য কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। গুজরাতি দম্পতির তিন মেয়ে। এক মেয়ে ওই ফ্ল্যাটেই থাকেন। তিনি সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা খোলা। এর পর ফ্ল্যাটে ঢুকে বাবা ও মায়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম), এসেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কাউন্সিলর কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দম্পতির আলমারি খোলা ছিল এবং অগোছালো অবস্থায় ছিল। দম্পতি হরিশ মুখার্জি রোড-এর বহুদিনের বাসিন্দা। ফিরহাদ হাকিম জানান, '' সম্ভবত গুলি চলেছে বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে।''
advertisement
দুটো দেহ আলাদা-আলাদা ঘরে পড়েছিল। অশোক শাহর দেহ ছিল ড্রয়িং রুমে, ভিতরের ঘরে পড়েছিল স্ত্রী রেশমি শাহর দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ। পৌঁছন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারী দল এবং অ্যাডিশনাল কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। নিয়ে আসা হয় স্নিফার ডগ-ও। পুলিশের কুকুর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গন্ধ অনুসরণ করে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে হরিশ পার্কের দিকে যায়। রাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
SUSOBHAN BHATTACHARYA