এদিন পুরসভার ডেঙ্গি নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকে ডাক না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেন, "উনি (ডেপুটি মেয়র) কাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন? বিরোধী কাউন্সিলর তো আছি মাত্র ৫-৬ জন। আমাদের ডাকা হয়েছে কোনদিন? মেয়র কতবার নাগরিক কনভেনশন করেছেন। আমার ওয়ার্ডে কি ডেঙ্গি হয় না! নাকি ওখানে তৃণমূল কংগ্রেস করেন এমন কেউ নেই ? সবাই কি বিজেপি করেন? "
advertisement
আরও পড়ুন, 'দিলীপ ঘোষ প্রভাবশালী, কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করতে হবে,' দলিল কাণ্ডে সুর চড়ালেন কুণাল
অতীন ঘোষ বলেন, "চলতি বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬.০৫২ জন। এর মধ্যে দক্ষিণ কলকাতা বরো ৮ থেকে বরো ১৪তে আক্রান্ত ৪,৬২৭ জন। তথ্য অনুযায়ী যা ৭৬.৫ শতাংশ। উত্তর কলকাতার বরো ১ থেকে বরো ৭ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩৭১ জন। যা ২২.৬ শতাংশ। জোকা ও গার্ডেনরিচ বরো ১৫ থেকে বরো ১৬ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ জন। যা ০.৯ শতাংশ।"
অতীন ঘোষ আরও বলেন, "উত্তর কলকাতায় ফাঁকা জমি রয়েছে ৩৮৩টি। যা মাত্র ৯.৯ শতাংশ। নির্মীয়মান বাড়ির সংখ্যা ১,৬৮৪ টি। যা ৩৭ শতাংশ । পুকুর ৪৩৩ টি। নর্দমা ১৫৪৫ টি। পাতকুয়ো ১৭৬৬ টি। দক্ষিণ কলকাতাতে ফাঁকা জমি ৩,০৩৮ টি। নির্মীয়মান বাড়ি ২,৮৪৪ টি। পুকুর ১,৪৯০ টি। নর্দমা ১১,২০৬ টি। পাতকুয়ো ১০,০৪৭ টি।"
আরও পড়ুন, ছাত্রপিছু থাকত মোটা টাকার টার্গেট, জ্যাম করা হত সার্ভার! মনে করছে ইডি
ডেপুটি মেয়র জানান, "শহরে ডেঙ্গি ছাড়াও ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজারের বেশি। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই এবার নতুন স্ট্রেন ডেঙ্গি-থ্রি তে আক্রান্ত বলে দাবি পুরসভার। যার চিকিৎসার প্রোটোকল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে না থাকায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। তাই কেন্দ্রের কাছে আবেদন ডেঙ্গি ডেন-থ্রি চিকিৎসায় প্রোটোকল বানানো হোক।"