কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী শহরে মোট ৩৫০০টি পুকুর রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৩৫০টি পুরসভার আওতাধীন। আপাতত প্রথম ধাপে প্রায় দেড়শোটি জলাশয় চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে মাছ চাষ করা হবে। পুরসভার পরিবেশ বিভাগ থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মৎস্য দফতর, মাছ চাষ করে এমন কিছু কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং মাছ চাষের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেছে পুর কর্তৃপক্ষ।
advertisement
কলকাতা পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, কিছু পুকুরে মাছ চাষের ব্যবস্থা করছি। তাতে যেমন পুকুরগুলি ভাল থাকবে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিবেশের মান উন্নয়ন হবে, ঠিক তেমনই লিজচুক্তি থেকে পুরসভার উপার্জনও হবে। তবে উপার্জনের থেকেও পুরসভার চিন্তা জলাশয় রক্ষা।
আরও পড়ুন : বাড়িতে ঠাঁই হয়নি স্বামীরও, কোভিডের ভয়ে গত ৩ বছর ছেলেকে নিয়ে গৃহবন্দি মা
শহরের জলাশয় বাঁচাতে ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার হাতে থাকা জলাশয়গুলি যাতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয়, তার জন্য এইভাবে মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই টেন্ডার ডেকে জলাশয় লিজে দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
জলাশয়ের অক্সিজেনের মান ভালো রাখতে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গেও কথা বলেছে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। বিশেষ পদ্ধতিতে এক ধরনের ভেষজ উপাদান জলে মিশিয়ে দেওয়া হবে।এর ফলে জলের মান ও অক্সিজেন লেভেল দুটোই উন্নত হবে।
আরও পড়ুন : জানালা দিয়ে উঁকি দিতেই হাড়হিম! রিসেপশনের সকালে নতুন বর কনের নিথর দেহ ভাসছে রক্তের সাগরে
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থা ও ক্লাব মাছ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। পুরসভার আধিকারিকরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলছেন। কোন পুকুরে কী ধরনের মাছ চাষ করলে ভাল হয় সে সম্পর্কেও আলোচনা চলছে। প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুরসভা জলাশয়কে মাছ চাষের উপযুক্ত করে তুলবে। কিন্তু লিজ নেবেন যাঁরা, অর্থাৎ মাছ উৎপাদন যাঁরা করবেন, তাঁরাই সেটা ঠিক করবে কোন মাছ তারা চাষ করবেন। কলকাতা পুরসভা টেন্ডার ডেকে বিভিন্ন স্থানীয় ক্লাব বা কো-অপারেটিভ সোসাইটির হাতে লিজচুক্তির মাধ্যমে পুকুরগুলি তুলে দেওয়া হবে।