দিন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে কাজের পদ্ধতি। অনলাইনে কাজের সুযোগ এসেছে। এই সব জায়গায় প্রচুর পরিমানে লোক দরকার হয় না। অথচ সেখানে আগে থেকে নিয়োগ হওয়া কর্মীরা রয়েছেন। সেই সব কর্মীদের করার মতে কাজ থাকে না। আবার অনেক বিভাগ রয়েছে যেখানে অবসর বা মৃত্যুর জন্য কর্মী সংখ্যা কমেছে। সেখানে লোক না থাকায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এই দুই জায়গার ভারসাম্য রক্ষা করতে চাইছে পুরসভা।
advertisement
আরও পড়ুন: কাজ হচ্ছে রেলের, এক ধাক্কায় বাড়ল বাসের ভাড়া! উত্তরবঙ্গগামী বাসের ভাড়া কত হল জানেন?
ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কিছু জায়গায় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এডভান্সমেন্ট হচ্ছে। অনলাইনে প্রচুর কাজ হচ্ছে। যেমন ট্রেড লাইসেন্স, এখানে আমাদের যে পরিমাণ লোক দরকার ছিল এখন আর সেটা দরকার নেই। যেখানে লোকের দরকার সেখানে ট্রান্সফার করা হচ্ছে। কমিশনার সাহেবকে বলেছি যারা ম্যানপাওয়ার কনসালটেন্ট তাদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে কোন জায়গায় কী পরিমাণ লোক দরকার কোথায় অথবা লোক বাড়াতে হবে তার একটা সার্বিক পরিকল্পনা করতে। আমাদের আগের বোর্ডে বামফ্রন্টের সময় প্রচুর ক্যাজুয়াল এমপ্লয়ি নেওয়া হয়েছে। আমাদের পুরো বডি এমন অনেক বিভাগ রয়েছে যেখানে পপুলারাইজেশন হয়ে গেছে। অনলাইন সার্ভিস চালু হয়েছে। আগে ইন্সপেক্টর রাজ ছিল এখন অনলাইনে সব কাজ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সিচুয়েশন অনুযায়ী কনসালটেন্ট লাগিয়ে নতুন পরিকল্পনা করে পোস্ট তৈরি করতে হবে। ম্যান পাওয়ার প্ল্যানিং করতে হবে। নয়ত অনেক জায়গায় লোক দরকার সেখানে লোক নেই। ডেপুটি ম্যানেজার, ম্যানেজার পদে ইতিমধ্যেই নিয়োগ। আমি আর একটা বিষয় সহমত নেই বেশিদিন একই পদে একই ডিপার্টমেন্টে কেউ চাকরি করুক।"
কলকাতা পুরসভায় এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে কাজ গতি অনেক বাড়বে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহলের একাংশ।
UJJAL ROY