অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর৷ পরপর দু’মাসেই অধিবেশনের দিনে ধুন্ধুমার পুরসভা। অগাস্টে কাউন্সিলরদের ক্লাবরুমে তৃণমূল-বিজেপি কাউন্সিলরদের মধ্যে মারপিট। আর সেপ্টেম্বরে নজিরবিহীনভাবে অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই কার্যত কাউন্সিলরদের কুস্তি।
শনিবার বেলা ১টায় পুরসভার মাসিক অধিবেশন শুরু হয়। সেই সময় অধিবেশনের ফাঁকে চেয়ারপার্সন মালা রায় মন্তব্য করেন, ‘‘বিরোধীদের কোনও প্রশ্ন থাকে না। এদিনের অধিবেশনে ও কংগ্রেস বিজেপি বামেদের কোনও কাউন্সিলর প্রশ্ন জমা দেননি।’’
advertisement
মালা রায়ের এই মন্তব্য ঘিরেই উত্তর-প্রত্যুত্তর পর্ব চলতে থাকে৷ উত্তর দেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ৷ একটা সময় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু ও বিজেপির সজল ঘোষ৷
বিবদমান দুই কাউন্সিলরকে থামাতে উঠে আসেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে এবং বিজেপির বিজয় ওঝা। কিন্তু, তাতেও বিশেষ লাভ হয় না৷ উল্টে বিজয় এবং সুদীপ নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সুদীপ পোল্লে তো রীতিমতো কুস্তির কায়দায় সজল ঘোষকে বগলদাবা করে নেন। তখন পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: পিয়ানোয় বাজালেন ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে’, স্পেনে এবার রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর তুললেন মমতা!
অভিযোগ, এই হাতাহাতি পর্বের আগে তৃণমূল কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে অধিবেশন কক্ষেই বেনজির ভাবে চোর শ্লোগান তুলে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। বারবার বলেও কোনও কাজ না হওয়ায় অধিবেশন সাময়িক ভাবে মুলতবি করে বেরিয়ে যান মালা রায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আসেন দেবাশিস কুমার। শেষ পর্যন্ত ফিরহাদ হাকিমের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি হালকা হয়। মিনিট ১৫ পর ঝামেলা মিটলে ফের শুরু হয় অধিবেশন। অধিবেশনের প্রায় শেষ দিকে বিজেপি কাউন্সিলররা ওয়াকআউট করেন।