এরই মধ্যে মেট্রো চালাতে গিয়ে টোকেন চুরি যাতে না হয় তা নিয়ে সাবধানী মেট্রো। এর আগে টোকেন চুরি নিয়ে জেরবার থাকত মেট্রো। চুরির বদ অভ্যাস কাটাতে যাত্রীদের সচেতন করতে প্রতি স্টেশনে চলবে ঘোষণা। মেট্রোয় টিকিট হিসেবে ব্যবহার করা হয় টোকেন। পুরনো মেট্রোর চেয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর টোকেন একটু হলেও আলাদা। একদিকে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেকের ছবি, আর অন্যদিকে স্বচ্ছ রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞাপন পেলে সেখানে সেই সংস্থার নাম জুড়ে দেওয়া হবে। যেহেতু মেট্রো টিকিটিং এরিয়া গেট ইটিসি, তাই টোকেন পাঞ্চ করে ঢুকতে হবে আর বেরোনোর সময় ইটিসি'তে টোকেন ফেলে দিলেই গেট খুলে যাবে।
advertisement
পুরনো পরিসংখ্যান বলছে, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবার প্রথম ৬ দিনে টোকেন চুরি গিয়েছিল প্রায় ১০৭০টি। একনজরে প্রথম ৬ দিনের টোকেন চুরির তালিকা দেখে নেওয়া যাক -১৪ ফ্রেব্রুয়ারি টোকেন ইস্যু হয়েছিল ১১৯১০টি। চুরি গিয়েছিল ৪০০টি।১৫ ফ্রেব্রুয়ারি টোকেন ইস্যু হয়েছিল ৯৮৮৩ টি। চুরি গিয়েছিল ২১৭ টি।১৬ ফ্রেব্রুয়ারি টোকেন ইস্যু হয়েছিল ১১১০১ টি। চুরি গিয়েছিল ৩১১ টি।১৭ ফ্রেব্রুয়ারি টোকেন ইস্যু হয়েছিল ৫৯২৮ টি। চুরি গিয়েছিল ৪৯ টি।১৮ ফ্রেব্রুয়ারি টোকেন ইস্যু হয়েছিল ৫১০৬ টি। চুরি গিয়েছিল ৫৭ টি।১৯ ফ্রেব্রুয়ারি টোকেন ইস্যু হয়েছিল ৪৮৭২ টি। চুরি গিয়েছিল ৩৬ টি।সব হিসেব করে দেখা যাচ্ছে প্রথম ছয় দিনে টোকেন ইস্যু করা হয়েছিল ৪৮৮০০ টি। আর তার মধ্যে চুরি গিয়েছিল ১০৭০ টি।
আরও পডুন-আবহাওয়ায় নাটকীয় বদল শীত গায়েব, আজ ও কাল বৃষ্টির সম্ভবনা জারি
ইস্যু হওয়া টোকেন তাতে চুরি যাওয়ার সংখ্যা কম হলেও চুরি থেকে ক্ষতির বহর ভালই হয়েছে মেট্রোর। কারণ যে সমস্ত টোকেন চুরি গেছে তার টিকিট হিসেবে মুল্য ছিল মাত্র ৫ টাকা। কিন্তু এই সব টোকেন তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ২০ টাকা করে। ফলে সব মিলিয়ে মেট্রো রেলের টোকেন বাবদ ক্ষতি হয়েছিল ২১৪০০ টাকা। এটা এক দিনের পরিসংখ্যান হলেও, বিগত দিনে দেখা গিয়েছে মেট্রোর বিভিন্ন স্টেশনে বহু টোকেন চুরি গিয়েছে।
আরও পড়ুন-হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, এবার ফিরহাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ত্রিপুরায়
কিন্তু চুরি যাচ্ছে কী ভাবে টোকেন? কারণ টোকেন বা স্মার্ট কাড না থাকলে কাউন্টার ছেড়ে টিকিটিং এরিয়াতে ঢোকা সম্ভব নয়। বেরোনোর সময় গেটে টোকেন না ফেললে গেট খুলবে না তাহলে কী করে হল? সূত্রের খবর, অনেক সময় ভিড়ের চাপে ইলেকট্রনিক গেটের পাশাপাশি, সাধারণ স্টাফ গেট বা এমারজেন্সি গেট খুলে দেওয়া হয়। তখনই বিভিন্ন স্টেশন দিয়ে স্টাফ গেট ব্যবহার করে অনেকে চলে গেছেন। যা গোটাটাই নজরদারির অভাব বলে মনে করছে মেট্রো। আর তারপর থেকে যে টোকেন চুরি গেছে তাতে যাত্রীদের অনেকে কাউন্টার থেকে টিকিট বা টোকেন ইস্যু করিয়েছেন। কিন্তু ওই টোকেন দিয়ে মেট্রো না চেপে চলে গেছেন। টোকেন রেখে দেন স্মারক হিসাবে। যার জেরেই মেট্রোর ক্ষতি হয়ে যায়।
আপাতত প্রতি স্টেশনে টোকেন নিয়ে যেমন চলবে কড়া নজরদারি তেমনি স্টেশনে চলবে ঘোষণা যাতে কেউ টোকেন না চুরি করে চলে যান। তবে ঘোষণাই সার।