রেল সূত্রে খবর, দেশের সব থেকে পুরনো চলতে থাকা মেট্রো প্রকল্প। ২০০৯ সালে যার শিলান্যাস করেছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। যে প্রকল্প নানা জটিলতায় এখনও চলছে। আর সেটা হল জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্প। অবশেষে সেই প্রকল্পের অর্ধেক অংশে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো চলবে। জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার ও তারাতলা এই ছ'টি স্টেশন নিয়ে চলতি বছরে শুরু হবে মেট্রো পরিষেবা। নোয়াপাড়া কারশেডে অবসর জীবন কাটানো মেট্রো রেককে নিয়ে আসা হয়েছে জোকায়। সেই আপাতত মহড়া দৌড় দেবে। ট্রায়াল রান অবশ্য হবে আধুনিক সিগন্যাল ছাড়া। কারণ জোকা কারশেডের কাজ সবে শুরু হয়েছে। ফলে কারশেড সম্পূর্ণ না হলে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা বসানো যাবে না। তবে বর্তমানে যে সিগন্যাল ব্যবস্থা আছে তা দিয়েই চলবে মেট্রো।
advertisement
আরও পড়ুন- গতি মাত্র ৫ কিমি, বেহালায় দৌড়ল মেট্রো
জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত হবে ট্রায়াল রান। আত্মনির্ভর প্রকল্পে প্রথম কাজ শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকে। শুরু হয়েছিল জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পে লাইন পাতার কাজ। ইউরোপ নয়, ছত্তিসগড় থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছিল ইস্পাতের রেল। আরভিএনএল সূত্রে খবর, জোকা ডিপো থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিমি লাইন পাতার মতোই ইস্পাত এসে পৌছে গিয়েছিল। পণ্যবাহী ট্রেন বা মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন যখন চলাচল করে তখন রেল লাইনের ওপরে তার ভার অনেক বেশি হয়। সেই তুলনায় মেট্রোর ভার অনেকটা কম। কিন্তু মেট্রো পরিষেবা যেহেতু ঘন ঘন হয় তাই রেলের ওপরে ঘর্ষণ এবং তাপ এতটাই উৎপন্ন হয় যে কাজ অনেক বেশি নিখুঁত ও সচেতনতার সঙ্গে করতে হয়। আরভিএনএলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মেট্রো লাইন হয় সুড়ঙ্গ, নয়তো মাটির অনেক উপরে হয়। ফলে এখানে লাইন বদলানো খুব একটা সহজ ব্যপার নয়। তাই কমপক্ষে ১০০ বছর ধরে পরিষেবা দিতে হবে এমনটা ভেবেই এই রেল বা ইস্পাত নিয়ে আসা হয়েছে।