বর্তমানে মেট্রো রেল নিজে থেকেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ ও হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো চালাচ্ছে। তাই বেসরকারিকরণ নিয়ে জল্পনা কেউ কেউ করতে পারেন, মেট্রোর কাছে এমন কোনও খবর নেই। আইএনটিটিইউসি পরিচালিতে মেট্রো ইউনিয়নের সহ সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, দিল্লি মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড এর আগে এই সংস্থা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।কর্মী ইউনিয়ন এ নিয়ে আপত্তি তোলায় বিষয়টি সাময়িক ভাবে থমকে যায়। পুনরায় আবার এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, ধীরে ধীরে এই প্রক্রিয়া চালাতে শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ফলে বেসরকারিকরণের সম্ভাবনা নিয়ে মেট্রো ভবনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
advertisement
অপরদিকে, মেট্রো মেনস ইউনিয়নের নেতা সুজিত ঘোষ জানিয়েছেন, মেট্রোর সব ক’টি লাইন কর্মীসঙ্কটে ভুগছে। নতুন লাইন চালু হলেও মেট্রোয় একটিও নতুন পদের অনুমোদন মেলেনি। ট্রেন চালানোর জন্য মোটরম্যানের সঙ্কটও প্রবল। কর্মীরা অবসর নেওয়ার পরে সেই পদে কম সংখ্যায় লোক মিলছে। ফলে কাজের চাপ অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আউটসোর্স করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে মেট্রোর তরফে।
মেট্রো ইউনিয়নের কথায় যে জল্পনা দানা বাঁধছে তা হল, দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের মাধ্যমে ট্র্যাফিক ব্যবস্থার একাধিক দায়িত্ব ‘আউটসোর্স’ করা হতে পারে। এ কথা জানাজানি হতেই মেট্রোর কর্মী সংগঠনগুলি আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ‘মেন্স ইউনিয়ন’ এবং ‘মেন্স কংগ্রেস’ তাদের আপত্তি জানিয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ‘মেট্রো রেলওয়ে প্রগতিশীল কর্মচারী ইউনিয়ন’ আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছে।