ফলে বোঝাই যাচ্ছে না, ট্রেন কতটা লেট। একের পর এক স্টেশন। একই ছবি। ডিসপ্লে অফ। এই ডিসপ্লে বোর্ডেই লেখা থাকে, কোন দিকে যাওয়ার ট্রেন ক’টার সময় স্টেশনে ঢুকবে। সেই মতো প্রস্তুত হন যাত্রীরা। সেই ডিসপ্লে বোর্ডই অন্ধকার! ট্রেন কখন আসবে, আদৌ আসবে কিনা, বোর্ড দেখে কোনও কিছুই বোঝার উপায় নেই। সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসল মেট্রো। কোন মেট্রো কখন আসছে বোঝা যাচ্ছিল না। কখন ক্যানসেল বোঝা যাচ্ছিল না। ঘোষণা নেই। অফিসে দেরি হচ্ছে। কাজে দেরি। ডিসপ্লে বোর্ড না থাকায়, সমস্যা বাড়ছিল।
advertisement
কলকাতার লাইফলাইন মেট্রো। মাস দু’য়েক ধরে সেই মেট্রো মানেই ভোগান্তি। প্রতিদিনই লেট। প্ল্যাটফর্মে উপচে পড়া ভিড়। ভিড়ের চাপে অফিস টাইমে একের পর এক মেট্রো মিস। স্কুল-কলেজ যেতে দেরি। অফিস যেতে দেরি। নাজেহাল যাত্রীদের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার কি পিঠ বাঁচাতে ডিসপ্লে বোর্ডই অফ করে দিল মেট্রো। শনিবার থেকে ব্লু লাইনের বিভিন্ন স্টেশনে ডিসপ্লে বোর্ড অফ।
সব স্টেশনেই ডিসপ্লে বোর্ড অন্ধকার। মেট্রো চলছে কি না সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। ফলে, মেট্রো লেট কি না সেটা বোঝারও উপায় নেই। অবশেষে সেই ডিসপ্লে বোর্ড ফিরিয়ে আনা হল।
এক সময়ে মেট্রোর ডিসপ্লে বোর্ড দেখে হাতের ঘড়ির সময় মিলিয়ে নেওয়া যেত। এতটাই সময়ে চলতো কলকাতা মেট্রো। আর এখন ডিসপ্লে বোর্ডেই আঁধার ঢেকেছিল। যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পিঠ বাঁচানোর নয়া কৌশল। মেট্রো সূত্রে খবর, সময় সেন্ট্রাল কন্ট্রোল থেকে ডিজিটাল বোর্ডে নতুন করে আপলোড করতে হয়েছে। সেই কাজের জন্যেই বন্ধ রাখা হয়েছিল।